ঢাকা: কারাগার ভেঙে বন্দি ছিনতাইয়ের মামলায় মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন দেশটির একটি আদালত।
গত ১৬ মে দেশটির রাজধানী কায়রোর অপরাধ আদালত (ক্রিমিনাল কোর্ট) তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর মঙ্গলবার (১৬ জুন) তা বহাল রাখার আদেশ দেওয়া হলো।
রায়ে ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় কারাগার ভেঙে জঙ্গিসহ বন্দি ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলার দায় বর্তানো হয়েছে মুরসির ওপর।
প্রাথমিক রায়ে মুরসির সঙ্গে আরও ১০৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে নিষিদ্ধঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ ও নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের বেশ কিছু নেতাও রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম জানায়, ১৬ মে প্রাথমিক রায়ে মুরসির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর স্থানীয় আইন অনুযায়ী তা মতামত চাইতে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃত্বধারী গ্র্যান্ড মুফতির কাছে পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড ও শরিয়া বিষয়ে তার মতামতের পর মঙ্গলবার এ রায় দেওয়া হলো।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের এ চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাবেন দণ্ডিত মুরসিসহ তার সহযোগীরা।
বলা হচ্ছে, মুরসি যদি আপিল করে হেরে যান, তবে মিশরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফাঁসিতে ঝুলবেন।
এর আগে, গুপ্তচরবৃত্তির একটি মামলায় মুরসির ২৫ বছর কারাদণ্ড ঘোষণা করেন একই আদালত। এই রায়ে ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হেজবুল্লাহ ও ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডসহ বিদেশি বিভিন্ন শক্তির কাছে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচারে দায়ী করা হয়েছে মুরসিকে।
আরব বসন্তের ঢেউয়ে ২০১১ সালের এপ্রিলে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন হলে পরের বছরের নির্বাচনে জয় লাভ করে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেন মুরসি। কিন্তু তার রাষ্ট্র পরিচালনায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্যান্য বিরোধীরা বিক্ষোভ শুরু করলে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বন্দি করা সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ এল সিসিই এখন মিশরের প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
এইচএ/
** গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মুরসির ২৫ বছরের কারাদণ্ড