সাংহাই: চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাই প্রশাসন এক পরিবারে এক কুকুর নীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। পোষা প্রাণীর সংখ্যা লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি ও জলাতঙ্ক ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।
তবে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অনেক সাংহাইবাসী। একাধিক কুকুর পোষেণ এমন অনেকেই ভয়ে আছেন, কখন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রিয় কুকুরটি ধরে নিয়ে যায়।
এ নিয়ম রোববার থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এখন একাধিক পোষা প্রাণী থাকলে তা অন্য আলাদা বাড়িতে রাখতে হবে অথবা অন্য কারো নামে নিবন্ধন করতে হবে।
এ নতুন আইনে কুকুর নিবন্ধন করতে ফি কমানো হয়েছে যাতে অনিবন্ধিত কুকুর তালিকাভূক্ত হয়।
বর্তমান আইনে সাংহাইয়ে আনুমানিক ৮ লাখ কুকুরের মধ্যে মাত্র এক রাখ ৪০ হাজার কুকুর নিবন্ধিত হয়েছে। প্রতি কুকুরের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে বছরে ফি দিতে হয় মূলশহরের অধিবাসীদের ২ হাজার ইউয়ান (৩০০ ডলার) এবং শহরতলীর অধিবাসীদের দিতে হয় এর অর্ধেক। নতুন আইনে তা কমিয়ে করা হয়েছে যথাক্রমে ৫০০ ও ৩০০ ইউয়ান। আর গ্রামের জন্য ধরা হয়েছে ১০০ ইউয়ান।
দেশে প্রস্তুত জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের জন্য খরচ পরবে ৪০ ইউয়ান এবং আমদানি করা প্রতিষেধকে পরবে ৬০ ইউয়ান।
রাজধানী বেইজিং এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংঝু শহরেও একই ধরনের আইন করা হয়েছে।
চীনের বিভিন্ন প্রদেশে মাঝে মাঝে জলাতঙ্কের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ কারণে সাংহাইবাসীদের পক্ষ থেকে অনেকটা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই এসেছে। যাদের একাধিক পোষা প্রাণী রয়েছে তারা একটি রেখে বাকিগুলো আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধবদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
তবে চীনের মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে এ আইন বেশ অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। এটাকে তারা ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে। কয়েক দশক আগে চীনে চরমপন্থী রাজনীতির সেই তীক্ত স্মৃতিই আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে তাদের। সে সময় ঘরে পশু-পাখি পোষা কমিউনিস্টবিরোধী এবং বুর্জোয়া বিলাসিতা বলে বিবেচনা করা হতো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১১