সিঙ্গাপুর: আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক লি কুয়ান ইয়ো দেশের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার উত্তরসূরী সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টোংও পদত্যাগ করেছেন।
১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পর সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে তার দলের তুলনামূলক খারাপ ফলাফলের পর তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন।
৮৭ বছর বয়সী লি ১৯৫৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এর পর থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মি. গোহ ।
প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর লি মন্ত্রিসভার বিজ্ঞ উপদেষ্টা এবং ২০০৪ সালের পর থেকে মি. গোহ বয়োজ্যেষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি ৭ মে দেশের সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে তারা দু’জনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে লি ও গোহ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তার টিমের জন্য একটি পরিস্কার আনকোরা ফলক (স্লেট) দরকার।
তারা বলেন, আরো কঠিন এবং জটিল পরিস্থিতির মধ্যে সিঙ্গাপুরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে তরুণ প্রজন্মের সময় এসেছে। সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে দেশে বিভাজন স্পষ্ট হওয়ার পর আমরা মন্ত্রীসভা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে নতুনরা এসে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এ ছোট্ট কিন্তু ধনী দেশটিতে পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি) এতোদিন একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় দেশ শাসন করছিল।
কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচনে পিএপি মাত্র ৬০ শতাংশ ভোট পায়। ২০০৬ ও ২০০১ সালে তারা পেয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ।
লি’র পদত্যাগের পর দেশের নেতৃত্বের ভার পরল তারই ছেলে প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং এর ওপর। সিঙ্গাপুরে এখন তিনি সবচেয়ে প্রবীণ রাজনীতিক।
এবারের নির্বাচনে বিরোধী ওয়ার্কার্স পার্টি পেয়েছে ৬টি আসন যা সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে কোনো বিরোধী দলের পাওয়া সবচেয়ে বেশি আসন।
সম্প্রতি দেশটিতে অভিবাসীদের চাপে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কারণে বিশেষ করে আবাসন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। পিএপির জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার পেছনে এটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১১