ফ্লোরিডা: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দুটি মসজিদের ইমামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি তালেবানকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই হাফিজ মুহাম্মদ শের আলি খানকে (৭৬) দক্ষিণ ফ্লোরিডা এবং তার ছেলে ইরফান খানকে (৩৭) লসঅ্যাঞ্জেলেস থেকে শনিবার আটক করে।
হাফিজ খান মিয়ামির একটি মসজিদের ইমাম। ইজহার খান ফ্ল্যা’র মারগেটে জামাত আল মুমিন মসজিদের ইমাম।
তার আরেক ছেলে ইজহার খানকেও (২৪) সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে এফবিআই।
সোমবার তাদের মিয়ামি আদালতে হাজির করা হতে পারে।
অভিযুক্ত অপর তিনজন আলি রেহমান ওরফে ফয়সাল আলি রেহমান, আলম জেব এবং আমিনা খান ওরফে আমিনা বিবি। এরা সবাই পাকিস্তানেই থাকেন।
আমিনা খান ইমাম হাফিজ আলি খানের মেয়ে এবং আলম জেব আমিনার ছেলে।
এই ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- তারা পাকিস্তানি তালেবানকে অপহরণ, হত্যা এবং সন্ত্রাসী কর্মকা-ের রসদ সরবরাহ করতেন বা এতে সহযোগিতা করতেন।
ফ্লোরিডার বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, মসজিদে তাদের কর্মকা-ের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ নেই। তাদের বিশ্বাস ও শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়েও কোনো প্রশ্ন তাদের নেই।
মার্কিন অ্যাটর্নি উইফ্রেডো অ্যা ফেরার বলেন, একজন আধ্যাত্মিক নেতা হলেও হাফিজ খান কোনো ভাবেই শান্তিবাদী লোক নন। অভিযোগে দেখা যাচ্ছে, হত্যা, অপহরণ এবং কাউকে আহত করার ব্যাপারে তিনি সন্ত্রাসীদের সহায়তা করতেন।
তিনি আরো বলেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পর এই ব্যক্তি তালেবানের অস্ত্র কেনাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিতে পাকিস্তানে তহবিল স্থানান্তর অব্যাহত রাখতে পারেন।
এফবিআইয়ের মিয়ামি কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জন গিলিস বলেন, নিরোপরাধ মানুষ হত্যায় ও মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত অর্থের আরেকটি উৎস বন্ধ হয়ে গেলো। আমরা আমাদের দেশকে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য তহবিল সংগ্রহের স্থান বা সন্ত্রাসী সংগ্রহের ভূমি বানাতে দিব না।
অভিযোগে জানা যায়, ২০০৮ থেকে নভেম্বর ২০১০ সাল পর্যন্ত অভিযুক্তরা পাকিস্তান তালেবানকে অর্থসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১১