জুরিখ: আত্মহত্যায় সহযোগিতা বিষয়ে দুটি প্রস্তাবনার ওপর গণভোট করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর জুরিখের প্রশাসন।
প্রস্তাবনা দু’টি হলো- আত্মহত্যায় সহযোগিতার বিধান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা এবং শুধু জুরিখের বাসিন্দাদের জন্য আত্মহত্যায় সহযোগিতা সীমিত করা।
সুইজারল্যান্ডে ব্যক্তিগত অধিকারকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া, দেশটিতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় জনগণ গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাজনৈতকি সিদ্ধান্তে সরাসরি ভোট দেন।
এ কারণেই সুইস জনগণ কখন কীভাবে মরবেন তাও ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। এ নীতি অনুসারে আত্মহত্যা করা বা এ কাজে সহযোগিতা করার গত কয়েক দশক ধরে এ দেশে বৈধ।
নিজেদের দেশে আত্মহত্যা বা এ কাজে কাউকে সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ হওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ সুইজারল্যান্ডে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রশাসন এখন অসস্তিতে পড়েছে।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে জনমত জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ জনগণ এটা বৈধ রাখার পক্ষে।
আত্মহত্যায় সহয়তাদানকারী সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান এক্সিট এর কর্মকর্তা বার্নার্ড সুটার মনে করেন, ইউরোপ শুধুমাত্র তাদের নৈতিক দোদূল্যমানতার সঙ্কট রপ্তানি করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপের এই ভয়ঙ্কর সমস্যার সমাধান করতে পারব না। আমরা মনে করি, এটা খুবই দুঃখের বিষয় অত্যন্ত অসুস্থ মানুষকে শুধু মরার জন্য হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আমাদের মতো স্বাধীনচেতা দেশে আসতে হয়। ’
তিনি বলেন, নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করা উচিত। তাই আমরা খুশি হতাম যদি জার্মানি এবং গ্রেট ব্রিটেন তাদের আইন পরিবর্তন করত।
সহায়তা প্রতিষ্ঠান এক্সিট আত্মহত্যায় শুধু সুইজারল্যান্ডের স্থায়ী বাসিন্দাদের সহায়তা দিয়ে থাকে। এ কাজে তারা সহায়তা প্রত্যাশির বাবা-মা ও পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে।
জুরিখের এ গণভোট সুইজারল্যান্ড সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারও আইনটি পুনর্বিবেচনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১১