ঢাকা: ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারীরা প্রথমবারের মতো পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদে অবতরণ করেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কারণে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
কয়েক বছর আগে থেকেই বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট অভিযোগ করে আসছিল, মার্কিনিরা আসলে চাঁদে যায়নি। একটি স্টুডিওতে কৃত্রিম আলোর সাহায্যে চিত্রায়িত করা হয়েছে চাঁদে অবতরণের দৃশ্য।
মার্কিনিদের বিরুদ্ধে চাঁদে অবতরণের ঘটনা সত্য নয় অভিযোগ করে যে কারণগুলো বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- চিত্র ধারণে অনেক ধরনের আলোর উৎস ব্যবহার করা হয়েছে; নভোচারীর হেলমেটে অজানা বস্তুর প্রতিফলন ঘটেছে, যার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি; গোপন তার (ক্যাবল) ব্যবহার করা হয়েছে; চাঁদে আগ্নেয়গিরি ও এর জ্বালামুখ এবং হৃদ আছে। কিন্তু ভিডিওতে কোনো ধরনের আগ্নেয়গিরি বা হৃদ দেখা যায়নি।
এ ছাড়া আরো অভিযোগ করা হয়, নভোচারীর হাতে থাকা পতাকার মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে। দৃষ্টকোণগত অসঙ্গতি রয়েছে এতে। চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা পাথরেরও খোঁজ নেই।
এ বাদেও মার্কিনিদের বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছিল ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদে অবতরণ নিয়ে।
এদিকে, মস্কো টাইমস বলছে, মার্কিনিদের চাঁদে অবতরণের মূল ভিডিও ফুটেজ উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়ে রাশিয়া তদন্ত করতে চায়। সে সময় (১৯৬৯) চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে যে পাথর সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলোরও আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, মানবজাতি ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের যথার্থতার স্বার্থে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট রাশিয়ার সরকারি তদন্ত কমিটির মুখপাত্র ভ্লাদিমির মার্কিনের বরাত দিয়ে উল্লেখ করে, আমরা এই ভেবে তৃপ্ত থাকতে চাই না যে, তারা (মার্কিন নভোচারী) চাঁদে যায়নি। আমরা ভাবতে চাই না যে, এটা শুধুমাত্র কৃত্রিমভাবে চিত্র ধারণ করা হয়েছে। মানবজাতির জন্য কিংবা বৈজ্ঞানিক ভিত্তির জন্য এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
অপরদিকে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই চাঁদে অবতরণের দুইলাখ টেপের মূল চিত্র ২০০৯ সালে নাসা চিরতরে মুছে ফেলে। এ সময় নাসা থেকে জানানো হয়, খরচ বাঁচানোর কারণে তারা এই মূল চিত্র মুছে ফেলেছে।
তবে পরে নাসা সিবিএস নিউজের কাছে থাকা রেকর্ডিং থেকে চাঁদে অবতরণের দৃশ্য ফের সংগ্রহ করে। এ বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, সংগ্রহ করা ভিডিওচিত্র মূল ভিডিও চিত্র থেকে অনেক উন্নতমানের।
চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে সংগ্রহ করা পাথর ও মাটিকে অতীতে নাসা দাবি করেছিল, এগুলো পৃথিবীর নয়। নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের প্লানেটারি সায়েন্স অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশনের প্রধান বিজ্ঞানী ডেভিড ম্যাককে ২০০১ সালে নাসার ওয়েবসাইটে এই দাবি করেছিলেন।
বিভিন্ন সাইট ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৫
এবি/