বেইজিং: ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা এবং আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার--উভয়ই চীন ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। বিশ্লেষকরা এমনই ধারণা করছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে চীনের নেতারা বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সম্প্রতি পশ্চিমাদের সমালোচনার মুখে ইসলামাবাদ তার ৬০ বছরের পুরনো বন্ধুত্ব নতুন করে পর্যালোচনা করবে, সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গিলানির আগামী মঙ্গলবারের এ সফরটি ইসলামাবাদের ওপর ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান চাপ প্রতিহত করতে সহায়কা ভূমিকা পালন করবে। দীর্ঘদিনের মিত্র ও প্রতিবেশির সঙ্গে পাকিস্তান কাঁধে কাঁধ মিলিয়েও দাঁড়িয়ে আছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা তালাত মাসুদ বলেন, ‘বিন লাদেনকে হত্যার অভিযানের পর চীনই একমাত্র দেশ যে পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘আগামী সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, তা যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে মোকাবিলা করার কাজে লাগতে পারে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তান বলতে চাই: আমাদের হাতেও খেলার মতো কার্ড আছে। ’
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানের পর পাকিস্তানের জন্য চীন তার অবিচল সমর্থন প্রকাশ করেছে। গত ২ মের ওই অভিযানের পর এমন খবর ছড়িয়েছে যে, পাকিস্তান আগে থেকেই লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে জানত।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং ইউ আল কায়েদার প্রধানকে হত্যার কয়েকদিন পর বলেন, এতো কিছুর পরেও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার লড়াইয়ের অগ্রভাগে রয়েছে।
এরইমধ্যে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে লাদেনকে হত্যা অভিযানের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। এমনকি পাকিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরবরাহ করতে দেওয়া হবে না বলেও দিয়েছে দেশটির আইনপ্রণেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১১