কাবুল: আফগানিস্তানে দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনের হত্যাকে স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির বেশিরভাগ লোক এটাকে ভাল খবর হিসেবে অভিহিত করেছে।
গত ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী লাদেনকে হত্যা করে। এরপর আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অঞ্চলে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে।
আফগানিস্তানের মার্কিন যুদ্ধাভিযানের মূল কারণই হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা এই দেশেই ওসামা বিন লাদেন লুকিয়ে আছেন। তবে লাদেনের মৃত্যুর পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ত্বরান্বিত হলো বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
প্রতিরক্ষা ও উন্নয়নসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক পরিষদ (আইসিওএস) গত দুই সপ্তাহ ধরে কান্দাহার, পানজশিল প্রদেশ, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও তিনটি স্থানে ৬০০ পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এতে ৬৮ শতাংশ লোক লাদেনের মৃত্যুকে স্বাগত জানিয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের শাসনামলে লাদেন আশ্রয় নিয়েছিল সেখানে।
পানজশিরের ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ আইসিওএসকে বলেন, ‘লাদেন মারা যাওয়ায় আমি খুশি। তিনি আহমাদ শাহ মাসুদকে খুন করেছেন। ’ আহমাদ শাহ মাসুদ ছিলেন তালেবানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। টুইন টাওয়ার হামলার দুইদিন আগে তাকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় হত্যা করা হয়।
তবে একই জরিপে জানা যায়, তালেবানের অন্যতম ঘাঁটি অঞ্চল মারজাহর ৭১ শতাংশ লোক মনে করে লাদেন হত্যা একটি খারাপ সংবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১১