ঢাকা: আর্থিক দুর্নীতির অজস্র নজির রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় এক নারী যে নজির দেখালেন সেটা যেন সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল।
উত্তর প্রদেশের বাহরায়চ’র এ ঘটনা পুরো ভারতে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশেনা দেওয়া হয়েছে।
অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রাজ্যগুলোতে সন্তান জন্ম দেওয়া নারীদের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে ২০০৫ সালে ‘জননী সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। উত্তর প্রদেশসহ উত্তরাঞ্চল, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, আসাম, উড়িষ্যা, রাজস্থান ও জম্মু-কাশ্মীর এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। প্রকল্পে শহর ও গ্রামাঞ্চলের নারীদের সন্তান প্রসবের পর বিশেষ আর্থিক সাহায্য করে কেন্দ্র, যেন মা ও শিশু পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। গ্রামাঞ্চলে এই ভাতা বাবদ ১ হাজার ৪০০ রুপি দেওয়া হয়।
উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, অভিযুক্ত আশা দেবী ‘জননী সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প থেকে ভাতা নিতে ১০ মাসে ৫ বার ‘জন্মদাত্রী’ দেখিয়েছেন নিজেকে। এ ঘটনা সামনে আসে কয়েক দিন আগেই। আশা দেবী সর্বশেষ চার মাসে নিজেকে ৩ বার জন্মদাত্রী দেখিয়ে ‘জননী সুরক্ষা যোজনা’র অর্থ চাইলে সন্দেহ হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানালে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে দেখা যায়, ৪ মাসে ৩ বার ‘মা’ হওয়া আশা দেবী ১০ মাসে মোট ৫ বার সন্তান প্রসব করেছেন!
তদন্তকারীরা বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে প্রকল্প থেকে এক হাজার ৪০০ রুপি নেন আশা দেবী। এরপর মার্চেও তিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা বলে অনুদান নেন। তারপর আবার ২০ মে তৃতীয় দফায় সন্তান জন্মদাত্রী মা হিসেবে অর্থ দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক সুবোধ শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিভিন্ন ব্যাংক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে একটি রেকর্ড চেয়েছি। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর পুষ্টিকর খাদ্যের জোগানের জন্যই সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, প্রকল্পটির এমন অপব্যবহার হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
এইচএ/