ইসলামাবাদ: সফররত মার্কিন ডেমোক্রাটদলীয় সিনেটর জন কেরি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ইসলামাবাদকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানি একটি দৈনিকে এ খবর বেরিয়েছে।
ইসলামাবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জন কেরি বলেন, গত ২ মে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার ঘটনায় তিনি পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাইতে সেখানে যাননি।
তবে সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ, যা ওই ঘটনায় ছিড়ে যাবার নয়। তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা, ক্ষমতার সামরিক বাহিনীর উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, ‘আগামীতে চলার পথ কথা দিয়ে ভেজালে হবে না, কাজে প্রমাণ দিতে হবে। ’ সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে পাকিস্তানে আরও সচেষ্ট হতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি পাকিস্তানি বন্ধুদের উদ্দেশে জোর দিয়ে বলছি, কংগ্রেসে (যুক্তরাষ্ট্র) পাকিস্তানের জন্য অব্যাহত আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে কঠোর প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে, আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে ছিলেন এই ঘটনা উন্মোচিত হওয়ার পর। ’
গত ২ মে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লাদেনকে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানকে আগে থেকে কিছু না জানিয়ে এ অভিযান পরিচালিত। অভিযানে চারটি মার্কিন স্টিলথ (রাডারকে এড়াতে সক্ষম) হেলিকপ্টার অংশ নেয়। এ ঘটনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরে।
এদিকে, পাকিস্তানে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সোমবার জানায়, পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে মানববিহীন মার্কিন বিমান (ড্রোন) হামলায় অন্ততন ১২ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
এ ধরনের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব বেড়ে গেছে। মার্কিন বিরোধীদের অভিযোগ, এই হামলা পাকিস্তানের সাবভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
সিনেটর জন কেরি গত রোববার ইসলামাদে পৌঁছেছেন। সফরকালে তিনি পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, সেনাপ্রধানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১১