ঢাকা: বিশ্বে প্রথম নক্ষত্র উদ্যান হচ্ছে রাশিয়ার কাজান শহরের উপকণ্ঠে। শহরের ভি. আই. এঙ্গেলগার্ট মানমন্দিরের ভূখণ্ডে উদ্যানটি নির্মাণ করা হবে।
বহুমুখী উদ্যান ভবনটি রাশিয়ার প্রজাতন্ত্র তাতারস্তানের রাজধানী কাজানের পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রধান অংশে মহাকাশ জ্যোতির্বিদ্যার নানা উপগ্রহ যন্ত্রপাতির পরীক্ষা করা হবে। রাশিয়া ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ কর্মসূচির কার্যক্রম এখানে চলবে। এছাড়া রুশ সরকারের মহাকাশ সংস্থা গ্লোনাস এখানে স্থাপিত করা হবে। কেবল বিজ্ঞানীদের জন্যই নয়, বরং বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র, স্কুলপড়ুয়া ও জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী সবার জন্যই এটি খোলা থাকবে।
এ প্রসঙ্গে এঙ্গেলগার্ট মানমন্দিরের ইউরি নেফেদিয়েভ বলেন, ‘এই কেন্দ্রে থাকবে নক্ষত্রশালা (প্ল্যানেটারিয়াম), বিনোদন উদ্যান এবং মহাকাশ জরিপ ও জ্যোতির্বিদ্যার ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য একটি অংশ থাকবে। উন্নতমানের টেলিস্কোপ ও এসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি মানমন্দিরে স্থাপন করা হবে। ’
এই মহাকাশ উদ্যানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে চলতি বছরের আগস্ট মাসে। এখানে এই সময়ে বিশ্ব জ্যোতির্বিদ্যা সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। গ্যাগারিনের মহাকাশ ভ্রমণের পঞ্চাশ বছর ও রুশ মহাকাশ বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক মিস্তিসøাভ কেলদীশের জন্ম শত বর্ষ উপলক্ষে এই আয়োজন।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ডিরেক্টর বলেন, ‘উদ্যানের অভ্যন্তরে জ্যোতির্বিদ্যায় অবদান রাখা মহান ব্যক্তিদের নাম, ছবি খোদাই করা থাকবে। আছে আরও চমক: প্রথমবারের মতো আকাশকে মাটিতে নামিয়ে আনা হবে। ’
তিনি আরও জানান, উন্নত মানের প্রোজেক্টর দিয়ে আকাশ, নক্ষত্রের বাস্তব ছবি বিশেষ এক স্থানে প্রতিফলিত করে তা দেখানো হবে। এখানে একজন দর্শক উঁচু বারান্দায় দাঁড়িয়ে তার প্রিয় নক্ষত্রটি খুব কাছ থেকে দেখবেন এবং আকাশে যা দেখেন তার সঙ্গে তুলনা করবেন। আরও দেখা যাবে অ্যান্ড্রোমিদা নক্ষত্রপুঞ্জের ঝাপসাভাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১১