ঢাকা: বছর দশেক আগে কেনিয়ায় গিয়েছিলেন বারাক ওবামা। সেবার মনের ভেতর প্রবল শূন্যতা পূরণে আপনজনের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন।
শুক্রবার মার্কিন বিমানবাহিনীর বিশেষ উড়োজাহাজে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছেড়েছেন ওবামা। কেনিয়া থেকে শুরু হতে যাওয়া এ সফর তিনি শেষ করবেন ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি সম্মেলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে। আদ্দিস আবাবায় প্রথমবারের মতো কোনো ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পা রাখবেন ওবামা-ই।
যুগান্তকারী এ সফরে তার সঙ্গে আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস, পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা বেন রোডস ও হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট।
সফরে কেনিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন ওবামা। কথা বলবেন আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে সহযোগিতার বিষয়েও।
রাষ্ট্রীয় এসব বিষয়ের পাশাপাশি সফরে গুরুত্ব পাবে ওবামার পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতার বিষয়াদিও। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারাই জানিয়েছেন, সফরে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি ওবামা তার স্বজনদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবেও সময় কাটাবেন।
২০০৬ সালে সবশেষ কেনিয়া সফরে গিয়েছিলেন ওবামা, পিতৃভূমিতে স্বজনদের সান্নিধ্য পেতে। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘সাধারণ একজন সিনেটর’। এবার বিশ্বের পরাক্রমশালী প্রেসিডেন্ট।
আফ্রিকান সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ‘ঘরের ছেলে’কে বরণ করতে কেনিয়ায় সাজ সাজ রব। ধুম পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা বিক্রির। এসব আয়োজনের পাশাপাশি ঘাটতি নেই বিশ্বের সবচেয়ে পরাক্রমশালী প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তুতিতেও। ওবামার নাইরোবি পৌঁছানোর আগেই সেখানে পৌঁছে গেছে হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তার লটবহর। তাদের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাচা সাঈদ ওবামা বলেন, আমার ভাতিজার কারণে আফ্রিকাজুড়ে কল্যাণের বাতাস বইবে। সে কার্যালয়ের সীমানা মাড়িয়ে বাবার দেশে ছুটে আসছে।
‘ঘরের ছেলে’র আগমনে সাঈদ ওবামার মতো উচ্ছ্বসিত সাধারণ কেনিয়ানরাও। তারাও মনে করছেন, তাদের ছেলে বিশ্বের পরাক্রমশালী প্রেসিডেন্টের এ সফরে দারুণ সুফল পাবে আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৫
এইচএ/