ঢাকা: ভারতের পাঞ্জাবে একটি থানাসহ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত সন্ত্রাসীরা। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুলাই) ভোর পৌনে ৬টার দিকে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের দিনানগর থানা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসীদের সংখ্যা কতো এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ কিছু জানা যায়নি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দিনানগর ও আশপাশের অঞ্চলে জড়ো হয়েছে সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় সেনাবাহিনী এ ঘটনার দায়িত্বও নিয়েছে বলে জানানো হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, ভোর পৌনে ৬টার দিকে জঙ্গিরা দিনানগর বাস টার্মিনালে জম্মুগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলিতে সেখানে এক যাত্রী নিহত ও আরও সাতজন আহত হন।
এরপর সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে একটি মারুতি আলটো কার ছিনতাই করে দিনানগর থানায় হামলা চালায়। সেখানে নির্বিচারে গুলি ছুঁড়ে কর্তব্যরত দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে হত্যা করে। তারপর থানা ভবনে ভাঙচুর চালায়।
এ দু’টি হামলার খবরের সঙ্গে সঙ্গে দিনানগর থানার কাছে পাঠানকোট-অমৃতসর রেললাইনে পেতে রাখা বোমা নিষ্ক্রিয় করার খবরও পাওয়া গেছে।
একাধারে বাস টার্মিনাল, থানায় হামলা ও একইসময়ে রেলের পাতে বোমা পেতে রাখার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে মনে করছে পাঞ্জাব পুলিশ। বিশেষত সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি করতেই রেললাইনে বোমা পাতা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ দল। তবে, সন্ত্রাসীরা এখন দিনানগর থানায় আত্মগোপন করেছে। তাদের বের করতে অভিযানে নামছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী।
এদিকে, এ হামলার পরপরই গুরুদাসপুর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বোমা পেতে রাখার আশঙ্কায় মহাসড়কের বাসগুলোতে তল্লাশির পাশাপাশি তল্লাশি চলছে রেললাইনেও।
এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসীদের বর্বরতা’ বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এ বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে শিগগির বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দিনানগর থানার পাশেই পাঠানকোটে সেনাবাহিনীর অনেক স্থাপনা রয়েছে। পাঠানকোট পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৫
এইচএ/