মস্কো: পারমাণবিক অস্ত্রবাহী আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা নিয়ে সৃষ্ট রুশ-মার্কিন উত্তেজনা শুরুর পর শুক্রবার দ্বিতীয়বারের মতো এমন একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো রাশিয়া।
খবরে বলা হয়, সিনেভা নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যারেন্ট সাগরে একটি রুশ সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার ঠিক বিপরীতে অবস্থিত কামচাতকা উপদ্বীপের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইগর কোনাশেনকোভ রাশিয়ার বার্তা সংস্থাকে জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি পানির নিচ থেকে উৎক্ষেপন করা হয়। এর ওয়্যারহেড ঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপণযোগ্য সিনেভা ক্ষোপণাস্ত্রটি রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রাগারে একেবারে সাম্প্রতিক সংযোজন। এরকম ক্ষোপণাস্ত্র প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপ করা হয় ২০০৮ সালে। এ প্রযুক্তির প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ১০টি করে অস্ত্র বহন করতে পারে এবং এর পাল্লা ১১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি।
পানির নিচ থেকে এর আগে ২৬ এপ্রিল একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল রাশিয়া। পুরাতন মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রগুলির প্রযুক্তি হালনাগাদ করতে রাশিয়া মাঝে মাঝেই এমন পরীক্ষা চালায়। তবে এই পরীক্ষা পশ্চিমের সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনায় আরো একটু জ্বালানি যোগ করবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে যা এই বছরই কার্যকরী হওয়ার কথা। তবে রাশিয়ার এ ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সেই চুক্তি বাস্তবায়ন অনিশ্চিত করে দিল।
অবশ্য সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে ইউরোপের দেশগুলোকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার ধারণা, পশ্চিমাদের এ উদ্যোগ এক সময় হয়ত তাদের ভূখণ্ডে হামলার একটি পূর্ব প্রস্তুতি। একারণে মস্কো ওয়াশিংটনের ওপর বেশ ক্ষিপ্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা. মে ২১, ২০১১