ঢাকা: বিখ্যাত সিংহ সেসিলের হত্যাকারী মার্কিন নাগরিক ওয়াল্টার জেমস পালমারের বিচার করতে চায় জিম্বাবুয়ে।
অবিলম্বে ওয়াল্টারকে জিম্বাবুয়ের কাছে হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছেন, দেশটির পরিবেশমন্ত্রী ওপ্পাহ মুচিনগুরি।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ।
মুচিনগুরি বলেন, সেসিলের হত্যাকারীকে আইনের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাই। তাকে অবিলম্বে জিম্বাবুয়ের কাছে হস্তান্তর করা হোক।
চলতি মাসের প্রথম দিকে জিম্বাবুয়ের বিখ্যাত সিংহ ‘সেসিল দ্য লায়ন’কে তীর ছুড়ে হত্যা করেন ওই ধনী মার্কিন শিকারি ওয়াল্টার জেমস পালমার। পেশায় দন্ত চিকিৎসক ওই শিকারির এহেন কাণ্ডে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
জানা যায়, তীর বিদ্ধ হওয়ার পর অন্তত ৪০ ঘণ্টা যন্ত্রণা ভোগের পর মারা যায় সেসিল। সিংহটি জিম্বাবুয়ের হোয়াংগে ন্যাশনাল পার্কের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ছিলো। সিংহটিকে লোভ দেখিয়ে পার্কের সীমানার বাইরে বের করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।
ওইদিন স্থানীয় শিকারি থিও ব্রোংকহর্স্টকে নিয়ে শিকার অভিযানে বের হন পালমার। এ সময় তিনি সিংহটিকে লক্ষ্য করে তীর ছোড়েন। এ ঘটনায় সিংহটি আহত হলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর ৪০ ঘণ্টা পিছু ধাওয়া করে সিংহটিকে গুলি করে হত্যা করে শিকারীদ্বয়। পরে শিকারের এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য তারা সেসিলের শরীরে থাকা কলার আইডি খুলে ফেলার চেষ্টা চালান।
১৩ বছর বয়সী সেসিল হোয়াংগে সাফারির কর্মচারী এবং দর্শনার্থীদের কাছে আইকন ছিলো। প্রতি বছর হোয়াংগে সাফারি পার্কে ৫০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে যার অর্ধেকই বিদেশি।
এদিকে, এ ঘটনার জেরে অপর শিকারি ব্রোংকহর্স্ট এবং পার্কের পার্শ্ববর্তী ভূমির মালিক হনেস্ট এনডুভোকে বুধবার ভিক্টোরিয়া ফলসের একটি আদালতে তোলা হয়। ঘটনার পরপরই জিম্বাবুয়ে থেকে পালিয়ে যান মার্কিন নাগরিক পালমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৫
এসইউ