ঢাকা: বিশ্ব তেল বাজারে বড় ফ্যাক্টর ইরান দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার খাড়া কাটিয়ে সামনে বাড়ার স্বপ্ন দেখছে। ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের ফলে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।
বিশ্ব তেল বাজারে ইরানের গুরুত্ব বোঝা গিয়েছিল পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণা আসার পরপরই। অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি সেদিন পড়ে গিয়েছিল ১ ডলার। তেল বাণিজ্যের বড় এই ফ্যাক্টর এবার ঘোষণা করেছে, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তাদের দৈনিক উৎপাদন আরও পাঁচ লাখ ব্যারেল বাড়ানো হবে।
রোববার (০২ আগস্ট) এক বক্তৃতায় এ তথ্য জানান দেশটির তেলমন্ত্রী বিজান জাঙ্গানেহ। তিনি বলেন, বর্তমানে ইরানের দৈনিক অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের হার পাঁচ লাখ ব্যারেল। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে উৎপাদনের হার দৈনিক দশ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করার চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক-এ এ ব্যাপারে আমি চিঠি দিয়েছি। আমি বলেছি, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে এবং আমরা ফিরে আসছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার এক বছরের মধ্যেই ইরান তার এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে।
তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে বরাবরের মতো এখনও নাখোশ সৌদি আরব ও ইসরায়েল। এর অন্যতম কারণও তেল। বর্তমানে অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে রাশিয়ার পরই সৌদি আরবের অবস্থান। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) ২০১২ সালে এক হিসাবে জানায়, দিনে গড়ে ১ কোটি ১ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ। এরপরই দিনে ৯৭ লাখ ৩৫ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন ইস্যু ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধের কারণে তেল উৎপাদনে শীর্ষে থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি রাশিয়া। এক্ষেত্রে আধিপত্যের বিচারে সৌদি আরব শীর্ষে। কিন্তু ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে সৌদির এই একচেটিয়া বাজারে ভাগ বসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৫
আরএইচ