ঢাকা: পদত্যাগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ব্রনউইন বিশপ। জনগণের করের অর্থ অপচয় করে তিনি সমালোচিত হন।
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজ রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ব্রনউইন সড়ক পথের জায়গায় আকাশপথকে বেছে নেন। ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হেলিকপ্টারকে বেছে নিয়ে তিনি সাড়ে তিন হাজার ডলারেরও (তিন লাখ টাকার কিছু বেশি) বেশি সরকারি অর্থ ব্যয় করেন। সড়কপথে সেখানে পৌঁছাতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়।
এ ঘটনায় সমালোচিত হয়ে তিনি পরবর্তীতে এ ব্যয়কে ‘হাস্যকর’ মন্তব্য করে ক্ষমাও চান। সেই সঙ্গে ব্যয়িত অতিরিক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দেন।
এদিকে, সমালোচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার সর্বশেষ এই দলীয় সফরসহ এর আগের বাকি সব সফরের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়। এতে বেরিয়ে আসে এর আগেও এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি জনগণের করের অর্থ ব্যয় করেছেন।
পরবর্তীতে সিডনিভিত্তিক দৈনিক টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রনউইন গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন ব্যক্তিগত সফরে দুই লাখ ডলারেরও (দেড় কোটি টাকার বেশি) বেশি করের অর্থ ব্যয় করেছেন। এসব সফরে তিনি লিমোজিনসহ বিভিন্ন বিলাশবহুল গাড়ির ব্যবহার করেছেন।
এসব ব্যয় ও অন্য কোনো ব্যয় সংশ্লিষ্ট কারণে ব্রনউইন কোনো আইন ভেঙ্গেছেন কি না, অস্ট্রেলিয়ার অর্থ অধিদফতর এখন তা খতিয়ে দেখছে।
ব্রনউইনের পদত্যাগের কথা জানানো সময় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট সাংবাদিকদের বলেন, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন, তাদের উচিত জনগণকে নিশ্চিত করা যে, তাদের করের অর্থ অপচয় হচ্ছে না।
এদিকে, এক বিবৃতিতে ব্রনউইন জানিয়েছেন, স্পিকার হিসেবে তার পদত্যাগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। তবে তিনি সাংসদ হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
তিনি বলেন, আমি ভেবেচিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও সংসদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও সম্মানের বহিঃপ্রকাশ এই সিদ্ধান্ত।
ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে ব্রনউইন বিশপ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৫
আরএইচ