ঢাকা: ভারতের মধ্যপ্রদেশে দুই ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ৪০ জন আহতের খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রাথমিকভাবে দুই জন নিহতের খবর প্রকাশ করে। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে তা ১৬, ২০,২৪ ও পরবর্তীতে ২৭ জন নিহতের কথা বলছে।
নিহতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৫টি শিশু। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সূত্র হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি।
মধ্যপ্রদেশের হারদা এলাকায় কামায়ানি এক্সপ্রেস ও জনতা এক্সপ্রেস নামে দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে মাচক নদীতে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে মুম্বাই থেকে বারানসিগামী কামায়ানি এক্সপ্রেসের ৭টি বগি এবং জাবালপুর থেকে মুম্বাইগামী জনতা এক্সপ্রেসের ৩টি বগি নদীতে পড়ে যায়।
সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে কামায়ানি এক্সপ্রেসটি লাইনচ্যুত হয়। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বিপরীত দিক থেকে আসা জনতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও লাইনচ্যুত হয়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় ও উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি দল উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিনে প্রবল বর্ষণের কারণে ট্রেনলাইনে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মধ্যপ্রদেশ ব্রিজের পাশ্ববর্তী বাঁধ ভেঙে হঠাৎ পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ট্রেনলাইনের ক্ষয়ক্ষতিতে এ লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে বলে রেলওয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান একে মিত্তাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।
রেওলয়ে বোর্ড সদস্য কুন্দন সিনহা দুর্ঘটনার একই কারণ উল্লেখ করে জানান, উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যাত্রীদের নিকটবর্তী স্টেশনে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া এই টুইট বার্তায় দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনাও জানিয়েছেন।
** মধ্যপ্রদেশে ২ ট্রেন লাইনচ্যুত, নিহত ১৬
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৫
জেডএস