ঢাকা: চীনের উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক শহর তিয়ানজিনে পণ্য গুদামে জোড়া বিস্ফোরণের পর ৩৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এখনও সেখানকার আকাশ অন্ধকার হয়ে আছে কালো ধোঁয়ায়।
বুধবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিস্ফোরক দ্রব্যের একটি চালান তিয়ানজিনের একটি গুদামে নেওয়ার সময় প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এর ৩০ সেকেন্ড পর দ্বিতীয় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। দ্বিতীয়টি প্রথমটির চেয়ে অনেক বেশি শক্তি ছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় আহত ৭০১ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া বিস্ফোরণের কারণে সাময়িকভাবে গৃহহীন হয়ে পড়েছে তিয়ানজিন শহরের সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। গুদামটির আশেপাশের এলাকাগুলোয় এরা বাস করতেন।
এদিকে, ঘটনাস্থলে সামরিক বাহিনীর ২১৭ সদস্যের রাসায়নিক দ্রব্য বিশেষজ্ঞের একটি দল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। ওই গুদামে কি পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য আছে, তা জানা না থাকায় বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) অগ্নিনির্বাপণ চেষ্টা স্থগিত ঘোষণা করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বিস্ফোরণের পর আগুন নেভানোর চেষ্টারত ৩৬ অগ্নিনির্বাপক কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কর্তৃপক্ষের। এদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর শুক্রবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ঝৌ তি (১৯) নামের এক অগ্নিনির্বাপক কর্মীকে। বাকি ১৮ জনের ভাগ্যে কি ঘটেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৫
আরএইচ
** চীনে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
** চীনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিনির্বাপণ চেষ্টা স্থগিত ঘোষণা
** চীনে বিস্ফোরণে নিহত ১৭, আহত ৪ শতাধিক (আপডেটেড)
** চীনে বিস্ফোরণে নিহত ১৩, আহত ৩ শতাধিক