ঢাকা: আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির উদগীরণ থেকে উদগত ছাইমেঘের কারণে ইউরোপের হাজার হাজার যাত্রী তাদের আকাশ ভ্রমন বাতিল করেছে। মঙ্গলবার ইউরোপের কমপক্ষে ৫০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস কোম্পানি ন্যাটস জানিয়েছে, ব্রিটিশ সময় বুধবার ০১ ঘন্টা পর্যন্ত স্কটল্যান্ড এবং উত্তর ইংল্যান্ডের কিছু বিমানবন্দরের ফ্লাইট ছাইমেঘের কারণে বাতিল করা হতে পারে।
ব্রিটেনের গ্লাসগো, এডিনবার্গ, নিউক্যাসল, বারা, প্রেস্টউইক, কাম্বারনোল্ড, টিরী, কারলিসল এবং ডারহাম টিস ভ্যালীর বুধবার সকাল পর্যন্ত বিমান যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পারে।
আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে ন্যাটস জানায় ব্রিটেনের আকাশে নতুন করে আর কোনো ছাইমেঘ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা নেই। যাত্রীদেরকে এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এদিকে, জার্মানীর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আকাশে অতিরিক্ত মাত্রার ছাইমেঘ থাকার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোর বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
গত শনিবার আইসল্যান্ডের সবচেয়ে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি গ্রিমসবেন জেগে ওঠার ফলে ইউরোপের আকাশে উৎক্ষিপ্ত ছাই ও ধোঁয়ার বিশাল কুন্ডলী ছড়িয়ে পড়ে।
ছাইমেঘে মঙ্গলবারের মধ্যে স্কটল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং স্পেনের কিছু অংশের আকাশ ছাইমেঘে ঢাকা পড়ার পূর্বাভাস দেন এয়ারলাইনের কর্মকর্তারা।
২০১০ সালে আইসল্যান্ডের ইজাফজালাজকুল আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ছাইমেঘ ইউরোপের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে বিমান চলাচলে ভয়াবহ বিঘ্ন সৃষ্টি করেছিলো। বাতিল হয়েছিলো লাখো ফ্লাইট। আটকা পড়েছিলেন এক কোটি যাত্রী।
১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়েছিলো বিমান পরিবহন শিল্প। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এবারের পরিস্থিতি অতটা ভয়াবহ হবে না বলেই মনে করছেন।
কিন্তু ছাইমেঘ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ায় আবারো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার শঙ্কা ও উদ্বেগ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘন্টা, ২৫ মে, ২০১১