ঢাকা: ভারতের স্বাধীনতা দিবসে দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্তে শুরু হওয়া গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত আট জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৫ জন।
শনিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অব কন্ট্রোল) পুঞ্চ সেক্টরে গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের মধ্যে ছয় জন ভারতের বালাকোট সেক্টরের বাসিন্দা। আর দু’জন পাকিস্তানের কোতলি জেলার নাক্যাল সেক্টরের দাবসি নড় গ্রামের বাসিন্দা। ভারতের নিহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী এক শিশু, ৪০ বছর বয়সী এক নারী ও একজন গ্রামপ্রধান রয়েছেন। আর পাকিস্তানে নিহতদের মধ্যে একজন ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ রয়েছেন।
সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে দাবি করা হয়, শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে নির্বিচারে গুলি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
পুঞ্চ শহরের ডেপুটি কমিশনার নিসার আহমেদ ওয়ানির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানায়, শনিবার বিকেলে পুঞ্চ সেক্টরে গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর বালাকোট সেক্টরেও গোলাগুলি করে পাকিস্তানি সেনারা। এতে সেখানে পাঁচজনের প্রাণ যায়। বালাকোটে মধ্যরাতে গুলিতে নিহত হন এক নারী।
নিসার ওয়ানি দাবি করেন, ২০০৩ সালে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর চলতি মাসেই এ পর্যন্ত ৩২ বার চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে। আর পরপর সাত দিন চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল)। এ অবস্থায় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
অপর দিকে সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন জানাচ্ছে, শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে নড় গ্রামে গুলি চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে মোহাম্মদ শফি ও শপল নামে দু’জনের প্রাণ যায়।
কোনো উস্কানি ছাড়াই ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানের গ্রাম লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে বলে দাবি করে ডন।
শনিবার ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু প্রতিবছরের মতো এবার দুই দেশের সেনারা মিষ্টি বিতরণ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫/আপডেট ১৫০০ ঘণ্টা
এইচএ/
** ভারতের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের গুলিতে নিহত ৩