বার্লিন: আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ছাইমেঘ বুধবার জামার্নি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এতে দেশটির উত্তরাঞ্চলের আকাশে বিমান চলাচল বিমান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
ব্রেমেন বিমানবন্দর গ্রিনিচ সময় ৩.০০টায় এবং হ্যামবার্গের বিমানবন্দর ৪.০০ টায় বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জার্মানির আবহাওয়া বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
রাজধানী বার্লিন ও হ্যানোভারের আকাশও ছাইমেঘে আক্রান্ত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
নরওয়ে ও ডেনমার্কের ফ্লাইটও ছাইমেঘের কারণে বিঘিœত হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের উত্তরে কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ করা হলেও সেগুলো শিগগির চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্কটল্যন্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের বিমান চলাচল সবচেয়ে বেশি বিঘিœত হয়েছে। এ অঞ্চলগুলোয় পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ইউরোপের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউরোকনট্রোল জানিয়েছে, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেনে ছাইমেঘের কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মানির যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আকারে বিপদের আশঙ্কা করছে।
ফ্রান্সের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাইমেঘের কারণ বিমান চলাচলে বিঘœ ঘটবে না বলে তারা করছে। ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, তারা বুধবার নাগাদ ইংল্যান্ডের আকাশে ছাইমেঘের ঘনত্ব ব্যাপক আকারে কমে যাবে।
ইউরোপের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশনার সিম কালাস বলেন, ‘গত বছর আমরা যেমন দেখেছি, সেরকম ব্যাপক আকারে বিমান চলাচল বন্ধ বা দীর্ঘদির ধরে তা অব্যাহত থাকবে না। ’
গ্রিমসভটেন আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ছাইমেঘের কণাগুলো আইজাফজালাজোকুল আগ্নেয়গিরির কণার চেয়ে বেশ বড় বড়। ফলে এগুলো আকাশ থেকে দ্রুত ভূমিতে পড়ে যাচ্ছে। গত বছর আইজাফজালাজোকুলের অগ্ন্যুৎপাতের ইউরোপজুড়ে হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়ে বিমান সংস্থাগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১১