প্যারিস: লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স যৌথ প্রয়াস অব্যাহত রাখবে। এ লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দুই দেশ।
ফ্রান্সে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলির সম্মেলন জি-৮ এর প্রথম দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ সঙ্কল্পের কথা জানান।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির সঙ্গে শুক্রবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স লিবিয়াতে তাদের ‘কার্যসম্পাদন’ করতে যৌথভাবে মনস্থির করেছে। জাতিসংঘের গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে না যতোক্ষণ কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতায় থাকবে।
এর আগে একই সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি বলেছিলেন, ক্ষমতা ছাড়তে গাদ্দাফির অনেক পথ রয়েছে। আর ক্ষমতা ছাড়লে তাকে নির্বাসনেও যেতে হবে না। দেশের স্বার্থে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য গাদ্দাফির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, আরব দেশগুলোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সহায়তার জন্য জি-৮ নেতারা ২ হাজার কোটি ডলার অনুদান ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে মিশর ও তিউনিসিয়ার নেতাদের প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। অপরদিকে জি-৮ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ওই দেশগুলোতে সাম্প্রতিক বিপ্লবের পর গঠিত নতুন সরকারকে কীভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করছেন।
তবে, সহায়তার অর্থ কী কাজে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে। আর ওই অঞ্চলগুলোর জন্য ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুত অর্থ ও ত্রাণের পরিমাণ কত তাও পরিস্কার নয়।
লিবিয়াতে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর তা সশস্ত্র রুপ নিলে বেসামরিক লোকদের নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মার্চ থেকে লিবিয়াতে বিমান হামলা শুরু করেছে ন্যাটো।
সম্প্রতি সামরিক দক্ষতা বাড়াতে ফ্রান্স ও ব্রিটেন লিবিয়াতে কয়েকটি জঙ্গি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে। সম্মেলনে এ দুই দেশ লিবিয়াতে আরো রসদ সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে তাগিদ দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১১