ঢাকা: ভারতের উত্তরপ্রদেশের বঘপত জেলায় বিবাহিত মেয়েকে নিয়ে চলে যাওয়ার শাস্তি হিসেবে এক তরুণের দুই বোনকে ধর্ষণ করার রায় দিয়েছেন গ্রামের মাতবররা।
এ ছাড়া ওই তরুণের দুই বোন মীনাক্ষী কুমারী (২৩) ও ছোট বোনকে (১৫) বিবস্ত্র করে এবং মুখে চুনকালি মেখে গ্রামে ঘোরানোরও আদেশ দেওয়া হয়েছে এ শালিসে।
এ ঘটনার পর ওই তরুণের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর তরুণের পরিবারের সবাই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে বোন মিনাক্ষ্মী আদালতে রিট করেন।
ঘটনার শুরু হয় তখন, যখন উত্তর প্রদেশের বঘপত এলাকার মীনাক্ষ্মী কুমারীর ভাই রবি দলিত সম্প্রদায়ের হয়ে জাত সম্প্রদায়ের এক মেয়ের প্রেমে পড়েন।
তাদের ভালোবাসার খবর প্রকাশ হয়ে পড়লে মেয়েটিকে জোর করে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়েটি স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২২ মার্চ রবির সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন।
পরে পুলিশ ও জাত সম্প্রদায়ের লোকজন রবির পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন মেনে না নিতে পেরে এক সময় রবি ও মেয়েটি আত্মসমর্পণ করেন।
এরপর ৩১ জুলাই বসে মাতবরদের শালিস। সে শালিসেই সিদ্ধান্ত হয়, দলিত সম্প্রদায়ের হয়ে উঁচুবর্ণের জাত সম্প্রদায়ের কারো সঙ্গে প্রেম কিংবা বিয়ে করতে পারে না। সে কারণে প্রতিশোধ হিসেবে রবির ২৩ বছর ও ১৫ বছর দুই বয়সী বোনকে ধর্ষণসহ বিবস্ত্র অবস্থায় গ্রামে ঘোরানো হবে। ঘোরানোর সময় মুখে চুনকালি মাখানো হবে।
এরপর রবির পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় ও বোন মিনাক্ষ্মী আদালতের শরণাপন্ন হন। এরপরই আগস্টে ভারতের মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়।
ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের। এ ঘটনায় আদালত উত্তর প্রদেশ সরকারকে নিরাপত্তা বিধানে রুল জারি করেছে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও কর্তৃপক্ষের কাছে পিটিশন দিয়েছে, রবি এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য।
তবে প্রতিবেদনে রবি ও মেয়েটির গ্রামের বাড়ি বা তাদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
এবি