ঢাকা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির সাত দশকপূর্তিতে এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছে চীন। এতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) অভিযোগটি জানানো হয় বলে সোমবার (৩১ আগস্ট) এক সংবাদসম্মেলনে জানিয়েছেন জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র ইয়োশিহিদে সুগা। ১৯৩ সদস্যের বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘকে সবক্ষেত্রে ‘নিরপেক্ষা’ থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় ও ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর ১৫ আগস্ট আত্মসমর্পণের ঘোষণা দেয় জাপান। একই বছর ২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করে দেশটি। আর এ কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তি উদযাপন প্রসঙ্গের সঙ্গে উঠে আসে জাপানের পরাজয় প্রসঙ্গও।
আগামী বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কয়ারে এ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ১২ হাজার সেনা ও দুইশ যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। সেই সঙ্গে প্রদর্শন করা হবে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র।
এ কুচকাওয়াজে জাতিসংঘ মহাসচিব ছাড়াও ২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এদের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ফ্রান্স ও ইতালি সরকারের পক্ষে দেশ দু’টোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও কানাডার পক্ষে চীনে দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরাও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে বান কি-মুনের যোগদানের ব্যাপারটিকে পক্ষপাতদুষ্ট মনে করছে টোকিও।
সংবাদসম্মেলনে ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, আমরা সবাইকে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে বলছি। অতীতের কোনো অপ্রয়োজনীয় অংশের ওপর অযথা আলোকপাত করার পক্ষে আমরা নই।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, চীনের এ আয়োজনকে ‘জাপানবিরোধী আচরণ’ বলে দেখছে টোকিও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
আরএইচ