ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অভিবাসী সংকট

অস্ট্রিয়া ও জার্মানির সিদ্ধান্তে সাধুবাদ ইউএনএইচসিআর’র

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫
অস্ট্রিয়া ও জার্মানির সিদ্ধান্তে সাধুবাদ ইউএনএইচসিআর’র

ঢাকা: নতুন করে আরও অভিবাসন প্রত্যাশী নেওয়ার ব্যাপারে অস্ট্রিয়া ও জার্মানির সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ সাধুবাদ জানায়।

এতে দেশ দু’টির উদ্যোগকে ‘মানবতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

এর আগে গত সপ্তাহে বুদাপেস্ট থেকে অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে ট্রেনযোগে কয়েক হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী প্রবেশ করেন। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নীতির কথা বলে সীমান্ত বন্ধ ও ট্রেন চলাচল স্থগিত করে হাঙ্গেরি কর্তৃপক্ষ। ফলে ঝুলে যায় হাজার হাজার মানুষের অভিবাসন প্রত্যাশা। টানা কয়েকদিন এভাবে কাটার পর গত শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রিয়া ও জার্মানি নতুন করে অভিবাসন প্রত্যাশী নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর পর থেকেই হাঙ্গেরির সীমান্ত অতিক্রম করে দেশ দু’টিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবেশ শুরু হয়।

শনিবার অস্ট্রিয়া ও জার্মানি জানায়, এ দফায় তারা যথাক্রমে ১০ হাজার ও ৭ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী নেবে। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এরই মধ্যে জার্মানিতে ৮ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী ঢুকে পড়েছেন।

ইউএনএইচসিআর’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিপুল সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশীকে স্বাগত জানানো ও তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইউএনএইচসিআর সুশীল সমাজসহ অস্ট্রিয়া ও জার্মানিকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।

এতে বলা হয়, ইউরোপজুড়েই সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি এনজিও সংস্থাগুলোর চাপে অভিবাসী ইস্যুতে সরকারগুলোর অবস্থান ও নীতি পরিবর্তনের চিত্র ইউএনএইচসিআর পর্যবেক্ষণ করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে শরণার্থীবিষয়ক সংস্থাটি বলে, চাপ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশী ইস্যুতে অল্প কয়েকটি দেশই শুধু তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ অবস্থা এই সংকট মোকাবেলায় স্থায়ী কোনো সমাধান দিতে পারবে না। পরিস্থিতি পরিবর্তনে এই মুহূর্তেই জরুরি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

সংকট মোকাবেলায় ইউএনএইচসিআর’র শরণার্থীবিষয়ক হাই কমিশনার অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, কোনো দেশ এককভাবে যেমন এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবে না, একইভাবে কোনো দেশ একা এর থেকে মুখ ফিরিয়েও থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, চলতি বছর এরই মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী ডুবে মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বছরের সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দি, তার ভাই গালিপ কুর্দি ও মা রেহান কুর্দিও রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।