কলকাতা: শারীরিক সক্ষমতার অভাবে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন সিপিএমের নবনির্বাচিত বিধায়ক মুস্তাফা বিন কাশেম। তিনি বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রোববার বিকেলে কলকাতায় রাজ্য বিধানসভার বিধায়কদের বাসস্থল এমএল-এ হোস্টেলের ৪ তলার কক্ষের জানালা দিয়ে লাফিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের ধারণা করছে।
১৯৭৭ সালে থেকে তিনি একটানা বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। বসিরহাট কলেজের সাবেক এই অধ্যাপক মুস্তাফা বিন কাশেম সোমবার বিধান সভায় শপথ নেওয়ার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই তিনি হাঁটু, কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। হাঁটাচলা করতেও অনুবিধা ছিল তার। একটি কিডনিও ছিল অকেজো।
জানা যায়, রোববার বিকেলে তার ছেলে যখন তার স্ত্রীকে বাসে তুলতে যান, তখনিই তিনি নিজের ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে লাফিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে।
সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন, ‘আমার শরীর ভেঙে পড়েছে। আমার আর কিছুই দেওয়ার নেই। ’
ঘটনার খবর পেয়ে সিপিএম নেতা রবীন দেব ও বিধানসভার সাবেক স্পিকার হাসিম আবদুল হালিম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বৈঠক করে ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চ্যার্টার্জি।
মমতা এমএল-এ হোস্টেলের তার কক্ষটি ও যেখানে তার লাশ পরে ছিল সেই স্থান পরিদর্শন করেন এবং পুলিশকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন।
মুস্তাফা বিন কাশেমের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখের! দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সিপিএম চাইলে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে প্রশাসন তার শেষকৃত্য পালনে সহায়তা করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১১