ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১১
৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আইনজীবীরা ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী খালিদ শেখ মোহাম্মদ ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে গঠিত হত্যা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হবে।



গুয়ান্তানামো বে বন্দিশালায় আটক এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এর আগেও ৯/১১ হামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। বারাক ওবামারা ইচ্ছা ছিল গুয়ান্তানামো কারাগার বন্ধ করে দেওয়া। এ জন্য অভিযুক্ত পাঁচজনকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বেসামরিক আদালতে বিচার করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি। তবে গত এপ্রিলে কংগ্রেসে প্রচণ্ড বিরোধীতার মুখে এ পরিকল্পনা ত্যাগ করতে তিনি বাধ্য হন।

এর পরিবর্তে গুয়ান্তানামোতে স্থাপিত আদালতে একটি সামরিক কমিশন এখন ওই পাঁচজনের বিচার করবে।

নতুন গঠিত এ অভিযোগ প্রেসিডেন্ট বুশ প্রশাসনের সময় গঠিত অভিযোগের অনুরুপ।

পাঁচজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তা হলো- ষড়যন্ত্র, যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে হত্যা, বেসামরিক লোকদের জান-মালের ওপর হামলা, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গুরুতর জখম করা, যুদ্ধের আইন লঙ্ঘন করে সম্পদের ক্ষতিসাধন, বিমান ছিনতাই এবং সন্ত্রাস।

এর আগে পেন্টাগন বলেছিল, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলার জন্য আগাগোড়াই খালিদ শেখ দায়ী। এ হামলায় ৩ হাজার বেসামরিক লোকের প্রাণহানী হয়।

খালিদ শেখকে ২০০৩ সালের মার্চে পাকিস্তান থেকে আটক করা হয়। পরে ২০০৬ সালে কিউবার গুয়ান্তানামো বে কারাগারে তাকে পাঠানো হয়।

এ মামলার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খালিদ ৯/১১সহ বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

এর মধ্যে ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের নাইটক্লাবে হামলা, ১৯৯৩ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা হামলা, আমেরিকান সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যা এবং ২০০১ সালে একটি তেলবাহী বিমান উড়িয়ে দেওয়ার ব্যর্থ হামলা।

২০০৭ সালে একটি শুনানিতে খালিদ অভিযোগ করেছিলেন, গুয়ান্তানামো বে’তে তাকে নিদারুণ নির্যাতন করা হয়েছে। পরে সিআইএ’র নথিতে অবশ্য আরো ভয়াবহ নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। তাকে ১৮৩ বার ওয়াটারবোর্ডিং পদ্ধতিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত অপর চারজনের নাম, ইয়েমেনের নাগরিক ওয়ালিদ বিন আত্তাস, রামজি বিনালশিব (ছিনতাইকারীদের তিনি বিমান প্রশিক্ষণ স্কুলটি খুঁজে পেতে সাহার্য করেছিলেন), আলি আবদ আল আজিজ আলি এবং সৌদি নাগরিক মোস্তফা আহমেদ আল হাউসাবি (অর্থ সরবরাহকারী)।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।