ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিন লাদেনের সেই সংবাদবাহকের পরিচয় মিলেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১১
বিন লাদেনের সেই সংবাদবাহকের পরিচয় মিলেছে

ইসলামাবাদ: ওসামা বিন লাদেনের যে বিশ্বস্ত বার্তাবাহকের সূত্র ধরে মার্কিন গোয়েন্দারা অ্যাবোটাবাদের সেই বাড়িটি খুঁজে পেয়েছিল তার পরিচয় মিলেছে। তালেবান যোদ্ধাদের জন্য এক সময়ের অভয়াশ্রম সোয়াত উপত্যকা থেকে তিনি পাকিস্তানে বিন লাদেনের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বার্তাবহকের নাম ইবরাহিম সাইদ আহমেদ বলে জানা গেছে। ২ মে মার্কিন নেভি সিলের অভিযানের সময় বিন লাদেনের সঙ্গে তিনি ও তার ভাই আবরারসহ আরো দুই ব্যক্তি নিহত হন।

এ সহোদরের বাবা-মা কুয়েত থেকে সোয়াত উপত্যকায় চলে আসার পর তারা বিন লাদেনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিন লাদেনের আত্মগোপনের স্থান অ্যাবোটাবাদ থেকে সোয়াত মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম ওই দুই ভাইয়ের আসল নাম প্রকাশ করে। তারা সোয়াতের মারতুং গ্রামে অবস্থান করছেন এমন তথ্যও দেয় পত্রিকাটি।

অন্য একটি দেশের এক বন্দির কাছ থেকে সিআইএ প্রথম আহমেদের ছদ্মনাম জানতে পারে ২০০২ সালে। তবে তার আসল নাম তারা জানতে পারেনি।

ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে আহমেদ ৯/১১ এর মূল পরিকল্পনাকারী খালিদ শেখ মোহাম্মদের অনুগ্রহভাজন ছিলেন। অ্যাবোটাবাদ থেকে ১২ মাইল দূরে একটি স্থান থেকে ২০০৫ সালে আটক আল কায়েদার শীর্ষ গোয়েন্দা ফারাজ আল লিবির ঘনিষ্ট সহযোগী তিনি।

সিআইএ’র গোপন কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায়ও খালিদ শেখ এবং আল লিবি উভয়েই আহমেদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। তবে বন্দি অপর আল কায়েদা গোয়েন্দা হাসান গুল সিআইএকে প্রথম আহমেদ সম্পর্কে তথ্য দেয়। পরে অনুসন্ধানে বের হয় এই আহমেদ এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যিনি বিন লাদেনের অবস্থান বলতে পারবেন।

ওই বন্দি জানায়, ওই বার্তাবাহকের ছদ্মনাম আবু আহমেদ আল কুয়েতি। কুয়েতে জন্ম নেওয়ার কারণেই হয়ত তিনি এমন নাম নিয়েছিলেন।

তবে মার্কিন গোয়েন্দারা আহমেদের প্রথম সন্ধান পায় মাত্র গত আগস্টে। তার ফোনে আঁড়ি পাতা সম্ভব হয়। আর পরে এর সূত্র ধরেই সিআইএ’র গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে অ্যাবেটাবাদের ওই স্থানটি সনাক্ত করা হয়।

পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে একটি কম্পাউন্ডে বিন লাদেন পাঁচ বছর ধরে কীভাবে আত্মগোপন করে থাকতে পারল তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি দেশটির সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা।

বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তবে তারা দেশের অভ্যন্তরে বিন লাদেনের সহযোগীদের খুঁজে বের করতে এবং গোয়েন্দা ব্যর্থতা খতিয়ে দেখতে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছে।

এ বিষয়ে বুধবার পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত বিন লাদেন স্থানীয় সহযোগিতা ছাড়া এভাবে আত্মগোপন করে থাকতে পারত না। সেখানে তার যে ধরনের সহযোগিতার দরকার তা বিবেচনা করলে বলা যায়, কোথাও হতে একটি গ্রুপ তাকে সাহয্য-সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছিল। ’ তবে এর সঙ্গে আইএসআই জড়িত থাকার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।