ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণে নতুন কিছু নেই’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১১
‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণে নতুন কিছু নেই’

নয়াদিল্লি: মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পর্যবেক্ষণে নতুন কিছু নেই। আর ভারতে বহু আগে থেকেই এমন সতর্কবার্তা সেল ফোল ব্যবহারকারীদের ভীতির মধ্যে রেখেছে।

কিন্তু কোনো গবেষণায়ই নির্ভুলভাবে তা প্রমাণ করতে পারেনি। যেখানে ভারত বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে মোবাইল ফোনের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বাজার।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বুধবার ফলাও করে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রয়ায় বৃহস্পতিবার ভারতের একদল বিশেষজ্ঞ এসব কথা বলেছেন।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিআর আম্বেদকর বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বিএস দাস বলেন, মোবাইল ব্যবহারে ক্যান্সার হয় এমন নির্দেশনামূলক গবেষণা অনেক হয়েছে। তবে সিদ্ধান্তমূলক কোনো বাস্তব প্রমাণ এবং ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো ভীতিকর পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি যা এ পর্যবেক্ষণকে প্রতিষ্ঠিত করে।

মি. দাস বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, কথা বলার সময় মোবাইল ফোন মিস্তষ্কের খুব কাছাকাছি থাকে। এ কারণে এর তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ মস্কিষ্কের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলতেই  পারে। তবে এর ফলে ক্যান্সার বা এরকম জটিল কোনো রোগ হওয়াটা একেবারে সুনিশ্চিত নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থায় (আইএআরসি) কর্মরত ১৪টি দেশের ৩১ জন বিজ্ঞানী বুধবার এক পর্যবেক্ষণে জানায়, প্রাপ্ত সকল বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায় সেল ফোল ব্যবহার ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

তাদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মোবাইল ফোনের ব্যবহার নির্দিষ্ট ধরনের কিছু ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁটি বাড়ায়। সুতরাং এ ঝুঁকি কমাতে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

এর আগে মুম্বাইয়ে লীলাবতি হাসপাতাল এবং আইসিএমআর এ বিষয়ের ওপর ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে একটি জরিপ করেছিল। তবে এসব জরিপ কখনো সিদ্ধান্তমূলক ফলাফল দেয়নি বলে জানান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস এর অধ্যাপক পিকে জুলকা।

তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এ সতর্কবার্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেল ফোন উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোকিয়া আরো উচ্চতর গবেষণার দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে, গবেষকরা সীমিত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এমন একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

এইচডব্লিউ’এর এ সতর্কবার্তা মোবাইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে দিবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এটাকে খুব ইতিবাচক ভাবেই দেখা হচ্ছে।

জুলকা বলেন, এর ফলে মানুষ মোবাইল ফোনে কথা বলে সময় নষ্ট করার চেয়ে বরং টেক্সট মেসেজ, ই-মেইল এবং ল্যান্ড ফোনে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলবে।

আশার কথা হচ্ছে ৬০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর মধ্যে তরুণ বয়সীদের অনুপাত ৬০ শতাংশ। আর এরা এ সতর্কবাণীর ওপর আস্থা রাখছে  বলেই মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।