ছবি: প্রতীকী
ঢাকা: ব্রিটিশরা নিজেদের সভ্য-সুসভ্য বলে দাবি করে থাকে। মানে জগতে তারাই নাকি উন্নত সুসভ্য জাতি।
তাদের ভাষায়, যাকে বলে ‘ব্লু-ব্লাড’ বা ‘নীল রক্তবান’ জাতি তারাই কেবল। এমন দাবি অবশ্য আধুনিককালের বিভীষিকা এডলফ হের হিটলারও করতেন! যদিও এই দাবি সত্য নয় মোটে। ভারতে, গ্রিসে, মিশরে , ইরাকে হাজার বছর আগে যখন উন্নত সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছিল, গণিত ও জ্যোতিবিদ্যার চর্চা হতো তখন আজকের ব্রিটিশদের পূর্ব পুরুষেরা পশুচর্ম গায়ে দিতো। গাছের কোটরে ও পাহাড়ের গুহায় থাকতো। আর একালে ফুটবল হুলিগান বলতে ব্রিটিশরাই সেরা। বিশ্বকাপ ফুটবল চলার সময় ব্রিটিশ সমর্থকদের অসভ্যতা ঠেকাতে ফুটবল ভেন্যুর চারপাশে মোতায়েন করতে হয় অতিরিক্ত পুলিশ। যাক সেকথা। প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশে বেড়াতে গিয়ে ব্রিটিশ পর্যটকেরা অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়ে থাকেন। দিনকয় আগে ইতালির রাজধানী রোমে গিয়েও এক নির্লজ্জ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ৬ ব্রিটিশ পর্যটক। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ আর দু’জন নারী। এই ৬ নারী-পুরুষ একটা ঐতিহ্যবাহী ফোয়ারার সামনে গিয়ে হঠাৎই জামা-কাপড় খুলে নগ্ন হয়ে পড়েন। এই স্থানটাতে তখন পর্যটকদের ভিড় গিজগিজ করছিল। কিন্তু নির্লজ্জ এই ৬ ব্রিটিশ নরনারী এরপর শুরু করলেন তুমুল নগ্ননৃত্য। তাতেও ওদের সাধ মেটেনি নিয়ম লঙ্ঘন করে এরপর এরা ফোয়ারা বেয়ে উপরে উঠে যান। সেখানেও তাতেও প্রকাশ্য অশ্লীলতা চলতে থাকে। তখন সকাল বেলা। দিনের শুরুতেই এহেন কাণ্ড কাঁহাতক আর সহ্য হয়। তাই লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ছুটে এসে ৬ ব্রিটিশকে ফোয়ারা থেকে নামতে বাধ্য করে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। ওদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন পর্যটক তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন: ‘‘ দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওরা প্রাচীন রোমের কোনো যৌনকেলিতে মেতেছে। ওরা ছিল পুরোপুরি নগ্ন। পুরুষগুলো অশ্লীলভাবে তাদের পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন করছিল আর নারী দু’জন নগ্নবক্ষে ছুটাছুটি করছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫
জেএম/এটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।