ঢাকা: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি বলেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তবে মোবাইল ফোনের মতো ক্ষতিকর রশ্মি বিকিরিণকারী যন্ত্র নয় শাকসবজি, পেট্রল এবং গাঢ় লাল রং ক্যান্সারের জন্য অধিক দায়ী বস্তুদের মধ্যে রয়েছে।
এ তথ্য নতুন মনে হলেও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বস্তু এগুলো। এরা গ্রুপ ২বি ক্যাটাগরির ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান বহন করে।
এছাড়া, এতোদিন বলা হতো কফি প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কিন্তু সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে কফি পানে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
আবার সংরক্ষিত শাকসবজি গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
জাপানি ও কোরিয়ানদের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হলে একেবাবে টাটকা শাকসবজি খেতে হবে। কখনোই প্রক্রিয়াজাত নয়। এ গবেষণাটি করা হয়েছে পূর্বের গবেষণার আলোকে। এবং গবেষকরা আগের গবেষণার সঙ্গে এই গবেষণার ফলাফলে অনেক মিল খুঁজে পেয়েছে।
কিন্তু মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে শুধু পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যা মানুষের পূর্বের আচরণের ওপর ভিত্তি করে সংগৃহিত ব্যবহার করা হয়েছে। এ পদ্ধতিকে ঠিক নিয়ন্ত্রিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলা যায় না। আর এ কারণেই গবেষকার সেল ফোনের ব্যাপারে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করছেন।
তামাকের ক্ষেত্রে ঠিক একই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। একইভাবে ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টিতে সুর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব নিয়েও গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। আর এ বিষয়গুলো মোটামুটি নিশ্চিত। যেখানে সেল ফোনের বিষয়টি মোটেও নিশ্চিত নয়।
দ্বিতীয় ক্যাটগরির ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান হচ্ছে ২এ। রঙ্গিন কাচ ও কন্টেইনার, কার্বন তড়িৎদ্বার উৎপাদন এবং হেয়ার ড্রেসার অথবা নাপিতের কাজ করলে এ ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়া, ঘরের মধ্যে কাঠ পোড়ানো, জৈব জালানি এমনকি জীবনের ছন্দপতন ঘটে এমনভাবে কর্মস্থল বা কাজের ধরনের পরিবর্তন করলেও এধরনের ক্যান্সার হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১১