ঢাকা: মৃত কোনো পুরুষের ঔরষেও সন্তান উৎপাদন সম্ভব করে তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এটা হলে কেবল সন্তানই নয়, নাতি-নাতনিদের জন্ম সম্ভব।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়াতে একজন নারী তার মৃত স্বামীর শুক্রাণু ব্যবহার করে সন্তান ধারণের অনুমতি চান। এর আগে ইসরায়েলের এমন একটি রয়েছে।
এখনো পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির ঔরষে সন্তান উৎপাদনসংক্রান্ত কোনো লিখিত আইন নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থা। তবে সৈনিকদের জন্য এটা একটি অসাধারণ উপায় বলে মনে করেন তারা। যুদ্ধের ময়দানে সেনারা নিহত হলেও তাদের স্ত্রীরা সন্তান ধারণ করতে পারবেন এ উপায়ে। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরাও এই কৃত্রিম প্রজনন সুবিধা নিতে পারবেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোর অ্যাটর্নি জেনারেল টেরেসা এরিকসন বলেন, “কৃত্রিমভাবে নিজ সন্তান জন্ম দেবার চেয়ে নাতি জন্ম দেবার ব্যাপারটি অন্যরকম। সন্তানটি নিজেই থেকেই একসময় প্রশ্ন করতে পারে, তার সম্পর্কে তারই জন্মদাতা কখনোই জানতে পারল না। এটা এক ধরনের উভয় সংকট সৃষ্টি করে।
ক্যালির্ফোনিয়ার একটি আইনে আছে, যদি কোনো ব্যাক্তি তার মৃত্যুর আগে তার শুক্রাণু দান করে যায় তাহলে মৃত্যুর দুই বছরের মধ্যে তার শুক্রাণু জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করতে হবে।
এরিকসন তার মক্কেলের স্বামীর নাম জন্ম নিবন্ধনে তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছেন।
ইসরায়েলে ২৭ বছর বয়সী ওহাদ বিন ইয়াকুব বিয়েও করেননি, এমনকি তার কোনো প্রেমের সম্পর্কও নেই। তবে তার মা-বাবা মালি ও দুদি বিন ইয়াকুব ছেলের শুক্রাণু নিয়ে আইনের আশ্রয় নেন। তাদের প্রশ্ন “সন্তানের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সৃষ্টির ব্যাপারে যদি আমাদের হাত থাকে, তাহলে আমরা কেন তার শুক্রাণু ব্যবহার করতে পারব না?” ইসরায়েলি দৈনিক হারিৎজ এ খবর প্রকাশ করেছে।
অস্ট্রেলিয়াতে জোসলিন এডওয়ার্ড এবং মার্ক এডওয়ার্ড নামের দম্পতি গত বছর এমন এক চুক্তির পরিকল্পনা করেন। এর কিছুদিন পরই দুর্ঘটনায় মার্ক এডওয়ার্ড মারা যান। তবে নিউ সাউথ ওয়েলসের আইন অনুযায়ী, দাতার অনুমতি ছাড়া শুক্রাণুর ব্যবহার নিষিদ্ধ। তারপরেও বিচারক অনুগ্রহ করে জোসলিন এডওয়ার্ডকে তার মৃত স্বামীর শুক্রাণু অনুমতি দেন। এসময় কোর্টের বাইরে এসে জোসলিন এডওয়ার্ড ডেইলি টেলিগ্রাফকে বলেন, “আমরা আমাদের সন্তান পেতে যাচ্ছি। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘন্টা, ০৪ জুন, ২০১১