ইসলামাবাদ: আফগানিস্তান-পাকিস্তান যৌথ শান্তি কমিশন আলোচনা শুরু করেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশনের প্রথম বৈঠকটি শনিবার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার দ্বিতীয় দিনে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। গত ২ মে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে আল কায়েদা প্রধান বিন লাদেন হত্যার পর এই প্রথম কারজাই পাকিস্তান সফরে আসলেন।
কারজাই এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানীর নেতৃত্বে শান্তি ও দ্বন্দ্ব মীমাংসার জন্য গঠিত যৌথ শান্তি কমিশনের প্রথম সভা শনিবার শেষ হয়েছে। পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে কাবুলে। তবে এ বৈঠকের দিন-তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও অবিশ্বাস কাবুল এবং ইসলামাবাদের মধ্যকার সম্পর্কে প্রায়শই টানাপোড়েন সৃষ্টি করে। পাকিস্তানের সীমান্ত ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় আশ্রিত জঙ্গিরা প্রায়ই দু’দেশেই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে থাকে।
আফগান তালেবান এবং হক্কানি নেটওয়ার্কের নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তনের যোগাযোগ আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলে বিবেচনা করেন বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ প্রধান লিওন প্যানেটা এখন ইসলামাবাদে অবস্থান করছেন। যদিও তার সঙ্গে কারজাইয়ের সাক্ষাতের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো খবর জানা যায়নি। ’
আগামী ১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের স্থালাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন প্যানেটা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘আফগানিস্থানের পুনর্গঠন এবং শান্তির জন্য দু’দেশই কাজ করছে। আফগানিস্তানের মিত্র দেশগুলোকেও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। ’
এর আগে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, ‘আমরা আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আফগানিস্থানের জনগণ এবং সেদেশের সরকারকে সমর্থন করি। আফগানিস্থানের শান্তি ছাড়া আমরা এই অঞ্চলে শান্তি আশা করতে পারি না। ’
কারজাই বলেন, ‘দু‘দেশের সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমাদের সকলের। এ যুদ্ধে জয়ী হওয়া আমাদের সবার স্বার্থেই প্রয়োজন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ১১ জুন, ২০১১