ইস্তামবুল: তুরস্কে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী রিচেপ তাইয়েপ এরদোগানের ভোট দেওয়ার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
আশা করা যাচ্ছে, টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে এরদোগানের দল জাস্টিস ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)।
আট বছর ক্ষমতায় থাকার পর একেপি আশা করছে এবারের নির্বাচনেও দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে তারা। ফলে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তারা দেশটির সংবিধানে পরিবর্তন আনতে পারবে।
রক্ষণশীল এই দলটি ইসলামি ভাবধারায় বিশ্বাসী। গত আট বছর ক্ষমতায় থাকাকালে দলটি তুরস্কের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়। তাদের নানামুখী উদ্যোগের কারণে গত বছরের বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ এ বছরের মার্চে কমে ১১ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এছাড়া একেপি সরকার বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।
এবার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি অনেক উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি হাতে নেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে একেপি। এর মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণসাগর থেকে আজিয়ান সাগর পর্যন্ত খাল খনন, ইস্তাম্বুুলের বাইরে একটি নতুন শহর স্থাপন এবং নতুন নতুন ব্রিজ, বিমানবন্দর ও হাসপাতাল নির্মাণ।
এরপরও দলটি বিরোধী দল সিএইচপি‘র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষ সিএইচপি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। এবার তরুণদের আকৃষ্ট করতে এবং পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দলটি অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে।
বিবিসির জনাথন হেড ইস্তাম্বুুল থেকে জানান, একেপির ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে রিসেপ তায়েপ এরদোগানের ক্যারিশমা একটা ভূমিকা রাখে-যা বিগত নির্বাচনগুলোতেও দেখা গিয়েছিল।
২০০৭ এর নির্বাচনে সংসদে ৫৫০ আসনের মধ্যে একেপি ৩৪১টি এবং সিএইচপি ১১২টি আসন পেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে একেপি ৩৬৭টি এবং অন্যরা ১৮৩টি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্ক ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদপ্রার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১১