রেঙ্গুন: বার্মায় সেনা ও কচিন বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মঙ্গলবার কমপক্ষে ৪ বিদ্রোহী ও ১ জন সৈন্য নিহত হয়েছে।
বার্মার উত্তরাংশে যেখানে চীন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে, সে এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গত বছর কচিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে অস্বীকার করার পর থেকে সরকারের সঙ্গে তাদের বিরোধ শুরু হয়।
গত মার্চে বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর এটাই সবচেয়ে মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো।
বৃহস্পতিবার থেকে বার্মার সরকারি সেনাদের সঙ্গে কচিন বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম জানায়।
সরকারি সৈন্যরা ওই জলবিদ্যুৎ এলাকার সীমান্ত চৌকির কাছে কচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মিকে (কেআইএ) প্রবেশে বাধা দিলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক দ্য ইউএস ক্যাম্পেইন ফর বার্মা জানিয়েছে, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বার্মা সরকার এলাকায় শত শত সৈন্য মোতায়েন করেছে।
সংস্থাটি সংবাদমাধ্যমকে জানায়, এ সংঘর্ষে ৪ জন বিদ্রোহী ও ১৬ সরকারি সৈন্য নিহত হয়েছে। এ সময় প্রায় ২ হাজার সাধারণ মানুষ পালিয়ে চীনে চলে যায়। এদিকে বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র ৪ বিদ্রোহীর নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
চীন বলেছে, এ সংঘর্ষের সময় জলবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে ৩০ জন প্রকৌশলী ও শ্রমিককে বার্মার সরকারি সৈন্যরা ধরে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনার পর কচিন বিদ্রোহীদের মুখপাত্র লা ন্যাম জানান, শ্রমিকদের এলাকা ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ লড়াই প্রতিবেশী দেশের মধ্যস্থতার মাধ্যমে শেষ হতে পারে। তবে তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
লা ন্যাম আরো জানান, ‘আমরা এ যুদ্ধ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়–ক, তা চাই না। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে, সরকার ও আমাদের মধ্যকার যুদ্ধ কোনো সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হওয়া সম্ভব। আমরা চাই, কোনো শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশ মধ্যস্থতা করে এ উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করুক। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১১
এবি