এথেন্স: অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব থেকে উদ্ধার পেতে কৃচ্ছতার নীতি বাস্তবায়নে সমর্থন পেতে নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করতে যাচ্ছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদেরু।
প্রদানমন্ত্রী পাপানদেরু জানিয়েছেন, তিনি নতুন করে সরকার সাজাতে চাচ্ছেন এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে তার গৃহীত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের আয়োজন করবেন।
ঋণের বোঝা অপরিবর্তীত থাকার কারণে গ্রিসের অস্থির বাজারে আরেক বার ঝড় বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নতুন করে দেখা দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আইএমএফ‘র সাহায্য পেতে হলে বর্তমান সরকারের প্রস্তাবিত কৃচ্ছতার (ব্যক্তিগত ব্যয় সঙ্কোচন) নীতি গ্রহণ করা আবশ্যক। কিন্তু গ্রিসের জনগণ এর বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
এ বছরের মধ্যে গত বুধবার এথেন্সে সবচেয়ে বড় সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। সাধারণ ধর্মঘটের অংশ হিসেবে এদিন বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে পড়ে।
এদিকে অবশ্য অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে পরস্পর বিরোধী উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পাপানদেরু নিজ দল স্যোশালিস্ট পাসক পার্টির পক্ষ থেকেও চাপের মুখে আছেন।
পাপানদেরু ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসেন। এর পর তিনি মন্ত্রী পরিষদে পরিবর্তন আনার কোনো ইঙ্গিতও কখনো দেননি। তবে মনে করা হচ্ছে এবার অর্থমন্ত্রী জর্জ পাপাকনস্ট্যানটিনোকে দিয়েই এই পরিবর্তন শুরু হতে পারে।
এথেন্সে বিবিসি’র ম্যালকম ব্রাবান্ট বলেন, অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ওই পদটি ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লুকাস পাপাডেমস পেতে পারেন।
অবশ্য এর জন্য আইএমএফ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমোদন দরকার হবে। এ পদে পাপাডেমসের মনোনয়নে গ্রিসের পার্লামেন্ট কতোটা খুশি হবে তা পরিস্কার নয়।
বর্তমান সরকার ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত জাতীয় ব্যয় থেকে ৪০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার কমানোর ব্যাপারে পার্লামেন্টে অনুুমোদনে জন্য চেষ্টা করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আইএমএফ’র কাছ থেকে ১২ বিলিয়ন ইউরো অর্থ অনুদান পেতে হলে গ্রিসকে এটা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী পাপানদেরু বুধবার তার অবস্থারে অনঢ় থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১১