ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মানবাধিকার ইস্যুতে রাউল-ওবামার বাহাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
মানবাধিকার ইস্যুতে রাউল-ওবামার বাহাস

ঢাকা: মানবাধিকার ইস্যুসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে কিউবা সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বাহাসে জড়িয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো। বিশেষ করে, কিউবায় রাজনৈতিক বন্দি রয়েছে বলে ওবামার মন্তব্যে এ বাহাসের সূচনা ঘটে।



এর জবাবে সোমবার (২১ মার্চ) হাভানায় ঐতিহাসিক এক সংবাদ সম্মেলনে রাউল বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক বন্দির নাম বলতে পারলে, তাকে (সোমবার) রাতের মধ্যেই তিনি মুক্তি দেবেন।

তবে হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, রাজনৈতিক বন্দিদের তালিকা কিউবাকে বেশ আগেই সরবরাহ করা হয়েছে।

বন্দিদের সম্বোধন নিয়েও একমত হতে পারছে না দুই দেশ। হোয়াইট হাউস যাদের বলছে ‘ভিন্ন মতাবলম্বী’, কিউবা তাদের সরাসরি ‘বন্দি’ সম্বোধন করছে। তাদেরকে রাউল কিছুতেই ‘ভিন্ন মতাবলম্বী’ বলে মানতে রাজি নন। মতের এ ভিন্নতা শুধু দুই দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যেই নয়। দাফতরিক কর্মকর্তারাও এ ইস্যুতে ভিন্ন মত পোষন করছেন।

এ ব্যাপারে ওবামা বলেছেন, মানবাধিকার ইস্যুতে শুধু কিউবার সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমত নেই। চীন ও ভিয়েতনামের সঙ্গেও রয়েছে। আমি আমাদের বিশ্বাসটাকে খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করতে পারি। কিন্তু অন্য কোনো দেশের মত পরিবর্তন করার সাধ্য আমার নেই। যদি পরিবর্তন আসতেই হয়, তবে তা আসতে হবে তাদের ভেতর থেকে।

১৯২৮ সালের পর এই প্রথম হাভানা সফরে গেছেন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ১৯৫৯ সালে কিউবায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর যে সম্পর্ক শীতল থেকে শীতল হয়েছে দিনে দিনে, এবার তাতে উষ্ণতা ছড়ানোর সময় এসেছে। প্রায় নয় দশক পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাভানা সফর সত্যিকার অর্থেই দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অনেকে তো মনে করছেন, ১৯৬১ সালে কিউবার ওপর আরোপিত মার্কিন বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও হয়তো উঠে যাবে ওবামার এ সফরের সুবাদে।

তবে এ ব্যাপারে আশাবাদী হলেও খুব শিগগির যে কিছু হচ্ছে না, তা জানিয়েছেন স্বয়ং কিউবার প্রেসিডেন্ট। সংবাদ সম্মেলনে রাউল বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। এছাড়া গুয়ান্তানামো বে কারাগার অবশ্যই বন্ধ হতে হবে।

ওবামা এ ব্যাপারে বলেছেন, কেউবার ভাগ্য যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো জাতি নির্ধারণ করবে না। কিউবার জনসাধারণই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।

পরে রাউল কাস্ত্রোর আমন্ত্রণে মার্কিন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামাকে নিয়ে বারাক ওবামা এক নৈশভোজে যোগ দেন। মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য ও হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাও এ ভোজে যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।