ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মন্দির ট্র্যাজেডি

কেরালায় হতাহতদের অনুদানের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
কেরালায় হতাহতদের অনুদানের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি

ঢাকা: ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমের রাজ্য কেরালার পুত্তিঙ্গল মন্দিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পরিবারকে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

 

তার ঘোষণা অনুযায়ী, এ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবার পাবে ২ লাখ রুপি করে।

আর আহতরা পাবেন ৫০ হাজার রুপি করে।

 

রোববার (১০ এপ্রিল) ভোরে অগ্নিকাণ্ডের পর সকালে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী অনুদানের ঘোষণার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় উদ্ধার তৎপরতা চালানোরও নির্দেশ দেন।

এরইমধ্যে তিনি কেরালার উদ্দেশে উড়োজাহাজে চেপে বসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন ১৫ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা।

ভোরে রাজ্যের রাজধানী তিরুবন্তপুরম থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় শহর কোলামের পুত্তিঙ্গল মন্দিরে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫০ জন।

বিভিন্ন পক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, দক্ষিণ ভারতের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব ‘নবরাত্রি’ উদযাপনকালে আতশবাজি ফাটানো হচ্ছিল। এক পর্যায়ে এর স্ফূলিঙ্গ মন্দিরে রাখা আতশবাজির স্তূপের ওপর পড়ে। এতে মুহূর্তেই বিকট বিস্ফোরণ হয়। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো মন্দিরে। এসময় দগ্ধ হয়ে মারা যান অনেকে। অনেকে নিহত হন পদদলিত হয়ে। আহত হন সাড়ে তিনশ’ মানুষ। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

ভোরের দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পর সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, উৎসব চলাকালে মন্দিরটিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভাইস প্রেসিডেন্ট হামিদ আনসারী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত সিং, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা।

স্থানীয় পুলিশ বলছে, মন্দিরে আতশবাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি কর্তৃপক্ষকে। তারপরও তা ফাটানো হয়েছে। এ ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষের নামে একটি মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।