ঢাকা: শ্রীলঙ্কায় গত কয়েকদিনের বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে গুড়িয়ে গেছে তেরো’শ বাড়ি-ঘর, আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ভারী বর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন এলাকার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।
এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ১১জনের প্রাণহানি ও পাঁচজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আর প্রায় দুই লাখ নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তেরো’শ ঘর-বাড়ি।
এর আগে টানা ভারী বর্ষণে প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়তে থাকায় সোমবার (১৬ মে) বন্যা সতর্কতা জারি করে দেশটির সরকার।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানায়, ভারী বৃষ্টির কারণে বড় দু’টি নদী কেলানি ও মাহা ওয়ার পানি প্রবাহের স্তর বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জেলা প্লাবিত হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের মুখপাত্র বলেন, যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।
‘দুর্গত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রান বিতরণের জন্য কর্মীরা কাজ করছেন, বলেন শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা সচিব করুণাসেনা।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে সরানো হয়েছে।
গত ১৪ মে থেকে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়।
দেশটির আবহাওয়া দফতর বলছে, দ্বীপ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জুড়েই ভারী বর্ষণ ও প্রচণ্ড বাতাসের প্রবাহ বয়ে চলেছে। এতে প্রবল বন্যার আশংকা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
আরএইচএস/এমএ