ঢাকা: প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘নগ্ন হও এবং কাজ করো’। ব্যস, শুরু হয়ে গেল নগ্ন হওয়ার উৎসব।
সম্প্রতি জনশক্তির কাজের গতি বাড়াতে প্রেসিডেন্ট আলেকজেন্ডার লুকাস হেনকো নগ্ন হওয়া সংক্রান্ত ওই নির্দেশনাটি দেন।
তার নির্দেশনার পরপরই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগ্ন হয়ে কাজ করতে শুরু করেন। এমনকি সেসব নগ্ন অবস্থার ছবিও পোস্ট করতে শুরু করেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে বেলারুশসহ বিশ্বজুড়ে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রেসিডেন্ট লুকাস হেনকো দার্শনিক সিগমুন্ড ফ্রয়েডের ভাববাদী বলে পরিচিত। তার সেই ভাবধারা থেকেই তিনি রাশিয়ানদের মতো উন্নত রাষ্ট্র গড়তে নিজেদের উন্নয়নের জন্য পোশাক না পরেই অফিসিয়াল কাজে মনোনিবেশ করার তাগিদ দেন।
কয়েক দশকের অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং অভিনব কিছু করারও আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট।
তার সেই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই অফিস পাড়ায় নগ্ন হয়ে কাজ করার ধুম লেগে যায়।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট হয়তো এমনটি বলতে চেয়েছেন, ‘প্রয়োজনে নগ্ন হয়ে কাজ করো, তারপরও কাজ করতে থাকো। ’ উন্নতির জন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতেই হয়তো তিনি এমনটি বলে থাকতে পারেন। কিন্তু সেই বক্তব্যের ভাবার্থ না বুঝে আক্ষরিক অর্থ ধরে দেদারছে সবাই নগ্ন হওয়া শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৬
টিআই/এইচএ/