ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রেক্সিটবিরোধী সেই থেরেসাই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৬
ব্রেক্সিটবিরোধী সেই থেরেসাই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

ঢাকা: গত ২৩ জুনের আগ পর্যন্ত তিনি বলেছিলেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকলে ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে। অভিবাসন সমস্যা হলেও ঐক্যবদ্ধ পথচলায় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

২৩ জুনের পর তিনি বলে চলছিলেন, যা হওয়ার হয়েছে, জনগণ যেভাবে রায় দিয়েছে, রাষ্ট্র সেভাবেই চলবে। এবার সেই তিনিই বলছেন, ব্রেক্সিটের বিষয়টি সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন লক্ষ্য।

এই তিনি থেরেসা মে। বসছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে। অর্থাৎ দিন ১৯ আগেও যিনি ছিলেন ব্রেক্সিটবিরোধী, সেই থেরেসা এখন ব্রেক্সিট বিষয়ে জনগণের রায় মেনে নিয়ে ব্রিটেনকে সামনের দিনগুলোতে নেতৃত্ব দেবেন।

২৩ জুন গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) পক্ষে রায় যাওয়ার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন।  

তার সেই প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পেতে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামেন থেরেসা, আন্দ্রে লিডসম, বরিস জনসন, মাইকেল গোভের মতো নেতারা। দৌড়ে নামেন ইউকে ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টির (ইউকিপ) নেতা নাইজেল ফারাজও। এ ক’জনের মধ্যে থেরেসা ছাড়া সবাই ছিলেন ইইউবিরোধী অর্থাৎ ব্রেক্সিটের পক্ষের।  

গণভোটের আগে অন্যরা ইইউ ছাড়ার পক্ষে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালালেও থেরেসা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন ইইউতে থাকার বিষয়ে। সেই প্রচারণায় তিনি বলেছিলেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকলে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পথচলায় সহযোগিতার পাওয়ার কথা।

গণভোটে জনতা ব্রিটেনকে ইইউ ছাড়ার পক্ষে রায় দেওয়ায় এখন থেরেসা বলছেন, জনগণ যে রায় দিয়েছে, সেটা মেনেই উন্নততর ব্রিটেন গঠন করতে হবে। আর তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে নিশ্চিত হওয়ার পর এখন স্পষ্ট করে বলছেন, আমার কাজ এখন উন্নততর ব্রিটেন গড়ে তোলা। একইসঙ্গে ব্রেক্সিটের বিষয়টি সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

থেরেসা সাফ বলছেন, এক সময় ব্রেক্সিটবিরোধী প্রচারণা চালালেও এখন আর ইইউতে যাওয়ার কোনো চিন্তা নেই। পেছনের দরোজা দিয়ে ইইউতে পুনরায় যোগ দেওয়ারও কোনো চেষ্টা হবে না। এমনকি দ্বিতীয় কোনো গণভোটেরও আয়োজন হবে না।

সংবিধান অনুযায়ী ব্রিটিশ জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্টের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী পদে থেরেসাকে  নির্বাচিত করলেও এখন প্রশ্ন উঠেছে, ইইউ ছাড়লে ব্রিটেন লাভবান হবে বলে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেসব বাস্তবে না দেখা গেলে জবাবদিহি করবেন কে?

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৬
এইচএ/

**বুধবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসছেন থেরেসা
**বুধবার পদত্যাগ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন​
**ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন থেরেসা মে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।