ঢাকা: ইতিহাস মতে, মধ্যযুগে কন্যা সন্তানদের ‘অভিশাপ’ ভেবে পাথর মেরে হত্যা করা হতো। আধুনিক বিশ্বে কন্যা সন্তানকে আশীর্বাদ ভাবার জন্য অজস্র প্রচারণা-কর্মসূচি চললেও কিছু অঞ্চলের মানুষের মন থেকে সেই ‘অভিশাপ’ ঘোর কাটছে না যেন! বিশেষত ভারতে।
এক সন্তানসম্ভবা নারীর পেটে কন্যা সন্তান আছে ‘শুনে’ তার পেটে এসিডই ঢেলে দিলো দেশটির অন্ধ প্রদেশের পাষণ্ড এক স্বামী। স্থানীয় সরকারের তরফে ‘বেটি বাঁচাও’ কর্মসূচি এবং অলিম্পিক বিজয়ী মেয়েদের জয়ধ্বনি চলার মধ্যেই এ ধরনের খবর পেতে হলো ভারতবাসীকে।
অন্ধ্রপ্রদেশের এ বর্বর ঘটনার খবর শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিয়েছে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, জ্যোতিষীর মুখে কন্যার আগমনের খবর ‘শুনেই’ সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পেটে এসিড ঢেলে দেয় রাজ্যের নেল্লোরের ওই পাষণ্ড স্বামী।
ঘটনার বিবরণে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সহিংসতার শিকার ওই হতভাগ্য স্ত্রীর নাম গিরিজা। তার দেড় বছরের এক কন্যা আছে। তিনি আবারও সন্তানসম্ভবা হলে সম্প্রতি জ্যোতিষীর কাছে নিয়ে যান স্বামী। জ্যোতিষী গিরিজার পেটে ‘কন্যা’ আছে বললেই ক্ষেপে যায় ওই পাষণ্ড স্বামী।
বাড়িতে এনে স্বামী, শাশুড়ি এবং ননদ মিলে গিরিজার ওপর সমানে অত্যাচার চালাতে থাকে। একদিন তার পেটে এসিড ঢেলে খুন করারও চেষ্টা করে তারা। এতে গিরিজার পেটের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
খবরটি জানার পর তৎপর হয় প্রশাসন। পুলিশ এরইমধ্যে গিরিজার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তার স্বামী এবং শ্বশুরকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৬
এইচএ/