ঢাকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হওয়ার অপেক্ষায়। বিশ্ব গণমাধ্যমের বিভিন্ন জরিপ বলছে ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে চলেছেন প্রথম নারী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।
ই-মেইল সংক্রান্ত ঘটনায় গত কয়েকদিন কিছুটা বেকায়দায় থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসেও ট্রাম্পের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি।
একইসময়ে ব্যবধান কমিয়ে আনলেও জেতার মতো অবস্থানে নেই রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।
তবে মঙ্গলবারের (০৮ নভেম্বর) ভোটের হিসাব একটু এদিক-সেদিক হলেই বদলে যেতে পারে দৃশ্যপট, সেইসঙ্গে পূর্বানুমান। এমনকি, মার্কিনিদের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের টিকিট পেতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সবদিক দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা হিলারিকে হারিয়ে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন ৬টি উপায়ে।
বিশেষ এক নিবন্ধে ট্রাম্পের জেতার এমন ৬টি উপায় বর্ণণা করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
উপায়-১: ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি যেসব অঙ্গরাজ্যে জিতেছিলেন সেগুলো ছাড়াও যদি বারাক ওবামার জেতা রাজ্য ফ্লোরিডা, ওহিও, আইওয়া, নেভাদা ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের ইলেকটোরাল ভোট করায়াত্ত করতে পারেন ট্রাম্প।
সেইসঙ্গে ট্রাম্প যদি নেব্রাসকা এবং ম্যাইন কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের একটি করে থাকা দুটি ইলেকটোরাল কলেজ লাভ করেন, সেক্ষেত্রে তার মোট ইলেকটোরাল কলেজ হবে ২৭০টি।
উপায়-২: যদি ট্রাম্প ডেমোক্রেট দূর্গখ্যাত উইসকনসিন, মিশিগার, পেনসিলভানিয়া রাজ্যে শেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণির ভোটারদের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান।
সেইসঙ্গে ওহিও, ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলিনায় শেতাঙ্গ শ্রমিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পেলে ট্রাম্পের ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা হবে ২৯০টি। এক্ষেত্রে হিলারির ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা হবে ২৪৮টি।
উপায়-৩: নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, কলারোডার মতো রাজ্যগুলোতে রিপাবলিকানদের দিকে ঝুকে থাকা ভোটার যদি হিলারি হারান, তবে সেগুলো ট্রাম্পের বাক্সে যাবে।
সেক্ষেত্রে প্রায় সমান শক্তির রাজ্যগুলো উতরে গেলেই জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ পেয়ে যেতে পারেন ট্রাম্প। এতে ট্রাম্পের ইলেকটোরাল কলেজ হবে ২৭৯টি ও হিলারির ২৫৯টি।
উপায়-৪: এবার আগাম ভোটের ক্ষেত্রে গত নির্বাচনের তুলনায় নর্থ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা ও জর্জিয়াতে আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটার কম ছিল। এরা সাধারণ ডেমোক্রেট প্রার্থীকে ভোট দেয়। এ পরিস্থিতি ট্রাম্প শিবিরের জন্য সহায়ক, যেটি তাকে সাহায্য করবে মিশিগানেও ভালো ফল লাভে; যেখানে অধিকাংশ ডেমোক্রেট ভোটার আফ্রিকান-আমেরিকান।
ফলে যদি হিলারির বাক্সে উল্লেখযোগ্যহারে আফ্রিকান-আমেরিকান ভোট কমে যায় সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত হিলারি ২৬৩টি পেলেও ট্রাম্প পেতে পারেন ২৭৫টি ইলেকটোরাল কলেজ।
উপায়-৫: যদি লাতিনোদের ভোট প্রত্যাশা অনুযায়ী না পড়ে এবং নির্বাচন হঠাৎ করে অধিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠলে ট্রাম্প অ্যারিজোনা রাজ্যের ভোট পেতে পারেন। সেইসঙ্গে যদি ফ্লোরিডা, নেভাদা ও কলারোডা রাজ্যে প্রভাব তৈরির সুযোগ পান, তবে সহজেই ট্রাম্প পেতে পারেন ২৭৯ ইলেকটোরাল কলেজ। এমনটি হলে হিলারির ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা হবে ২৫৯টি।
উপায়-৬: উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের ভোটাররা ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়লেও জিততে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে ম্যাইনের সঙ্গে নিউ হ্যাম্পশায়ারের ইলেকটোরাল কলেজ ট্রাম্প পেলে, সেইসঙ্গে ফিলাডেলফিয়াসহ শহরতলী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন পেলে ট্রাম্প পেতে পারেন ২৮৭টি ইলেকটোরাল কলেজ।
যদিও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জরিপ অনুসারে বলা হচ্ছে ২৬৮টি ইলেকটোরাল কলেজ অনেকটাই নিশ্চিত হিলারির। যেখানে ট্রাম্প পাবেন ২০৪টি ইলেকটোরাল কলেজ।
আরও পড়ুন..
** যে ৬ উপায়ে বিজয়ী হতে পারেন ট্রাম্প
** ডিক্সভিল নচে ট্রাম্পের দ্বিগুণ ব্যবধানে হিলারির জয়
** যেখানে ভোট দেবেন হিলারি-ট্রাম্প
** রয়টার্স বলছে- হিলারি জেতার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ
**কয়েক ঘণ্টা পরেই ভোটগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রে
** জেনে নিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এসআর