বুধবার (৩১ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা) কাবুলের কূটনৈতিক এলাকায় কর্মব্যস্ততার শুরুতেই এ বোমা হামলা চালানো হয়। সারা মুসলিম বিশ্বের মতো আফগানিস্তানেও পবিত্র রমজানের রোজা পালনের মধ্যে ভয়াবহ এ হামলার নিন্দা চলছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, পানিবাহী একটি ট্যাংকারে বিস্ফোরক পেতে রেখে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গাড়ি-বাড়িসহ অনেক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় ওয়াজির আকবর খান হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের হাসপাতালে অনেক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হচ্ছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে আনতে আনতেই মারা যাচ্ছেন অনেকে। চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থলে থাকা এক সাংবাদিক জানান, কাবুলে জার্মান দূতাবাস ও রোশান টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির কার্যালয়ের কাছে নগরীর একেবারে কেন্দ্রস্থলে এ হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল ভারতীয় দূতাবাসসহ অনেক কূটনৈতিক কার্যালয়।
হামলার লক্ষ্যবস্তু বা হামলাকারীদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে এ ধরনের হামলা বরাবরই চালিয়ে আসছে পশ্চিমা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সশস্ত্র তালেবানরা। সম্প্রতি ইসলামিক স্টেটেরও (আইএস) এ ধরনের হামলা চালানোর নজির রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭/আপডেট ১৩২১ ঘণ্টা
এইচএ/