এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়েরেস। মঙ্গলবার (৩০ মে) নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি বক্তৃতা করছিলেন।
গুতিয়েরেস বলেন, জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন করতেই হবে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে যদি কোনো দেশ দ্বিমত পোষণ করে, তবে অন্য দেশগুলোকেই এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।
কার্বন নিঃসরণ কমানো, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তাসহ বেশ কিছু দফা নিয়ে প্যারিসে ওই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৪০টি দেশ ও সংস্থা ওই চুক্তি অনুমোদন করে। কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন শুরু হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এর নেতাদের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছাতে প্রত্যাখ্যান করার পর গুতিয়েরেস এই কথা বললেন।
ট্রাম্প মনে করেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা’ চীনের তৈরি একটি ‘গুজব’, আর এই গুজবের ওপর ভিত্তি করে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি। এমনকি চুক্তির বিরুদ্ধাচরণ করে ভবিষ্যতে কয়লা শিল্পের উন্নয়নে আরও ব্যাপক পদক্ষেপ নেবেন।
এই বিষয়ে গুতিয়েরেস স্পষ্ট করে বলেন, কোনো সরকার যদি বৈশ্বিক ইচ্ছে ও জলবায়ু চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, তবে অন্য রাষ্ট্রগুলোর উচিত এ বিষয়ে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করা।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘পৃথিবী বর্তমানে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। এজন্য প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন করা একেবারে অপরিহার্য। ’
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসাটা যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ হবে না। তারপরও যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকার সরে যায়; তবে সর্বোতভাবে দেশটির শহর, রাজ্য, কোম্পানি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর এই চুক্তির সঙ্গে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
নিউইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য এরইমধ্যে ট্রাম্পের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সমর্থন ছাড়াই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈশ্বিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য তিনি ২০১৯ সালে একটি সম্মেলন ডাকতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ৩১ মে, ২০১৭
এসআইজে/এইচএ/