তার বাসভবন হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বুধবার (৩১ মে) এ খবরটি দিয়েছে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০০ দেশ অনুমোদন দিয়েছিল।
ট্রাম্প জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়ে নিজেই এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্যারিস চুক্তির বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবো। আমেরিকাকে আবারও মহান করে তোলো। ’
সম্প্রতি ইতালিতে শেষ হওয়া উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এর সম্মেলনে অংশ নিয়েও ট্রাম্প জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে তার দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি সেসময় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টি ভাঁওতাবাজি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এ বিষয়ে তিনি মনস্থির করবেন বলেও জানান।
তার ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ মে) জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়েরেস বলে দেন, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন একেবারে অপরিহার্য। যদি কোনো দেশ দ্বিমত পোষণ করে, তবে অন্য দেশগুলোকেই এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি (শিল্পবিপ্লব পূর্ব সময়ের তুলনায়) ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার জন্য পৃথিবীর গ্রিনহাউজ গ্যাসের অন্তত ৫৫ শতাংশ নির্গমন করে এমন অন্তত ৫৫টি দেশের মতৈক্যে পৌঁছানো প্রয়োজন। চুক্তি অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলো প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন ডলার দেবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে।
এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে ট্রাম্প ক’দিন আগে বলেন, ভবিষ্যতে তার দেশ কয়লা শিল্পের উন্নয়নে আরও ব্যাপক পদক্ষেপ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এইচএ/