কক্সবাজারে এসব শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যাতে শিশুরা পড়ালেখা করবে, করবে খেলাধুলাও।
এখন পর্যন্ত ১৮২টি কেন্দ্রে অন্তত ১৫ হাজার শিশুকে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আগামী এক বছরে টার্গেট করা হয়েছে, প্রায় দুই লাখ শিশুকে শিক্ষা দেওয়ার। এ জন্য প্রতিষ্ঠা করা হবে ১৫শ কেন্দ্র।
ইউনিসেফ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি অ্যাডওয়ার্ড বেডবেদার বলেন, সহিংসতার মধ্যদিয়ে এসব শিশু বাংলাদেশে এসেছে। তাদের মানসিক দিক বিবেচনায় শিক্ষা দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যৎ ভালো হয়।
প্রতিদিন তিন শিফটে করে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হবে। এক এক শিফটে ৩৫ জন। প্রাথমিক পর্যায়ে চার থেকে ছয় বছর বয়সী শিশু এবং এরপরের ধাপে ছয়ের পর থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান দেওয়া হবে। ভাষা হিসেবে তারা শিখবে, ইংরেজি ও বার্মিজ। আরও শিখবে অংক, বিজ্ঞান, ছবি আঁকা এবং সংগীত।
এছাড়াও তাদের জন্য থাকবে মানসিক বিভিন্ন কাউন্সিলিং, স্বাস্থ্যবিধি শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ। শিশুদের কলম, রঙিন পেন্সিল, স্কুল ব্যাগসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
নিরাপত্তা পরিষদে প্রহসন, নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব নেই কোনো!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
আইএ