ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নিন্দিত সু চি প্রথমবারের মতো রাখাইন পরিদর্শনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৭
নিন্দিত সু চি প্রথমবারের মতো রাখাইন পরিদর্শনে সেনাবাহিনীর অভিযান থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন অং সান সু চি

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবলীলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে গেলেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর (কার্যত সরকারপ্রধান) অং সান সু চি। সেখানে মানবিক সংকট তৈরির পর এটি তার প্রথম সফর।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে অঘোষিত এ সফরে রাখাইনে পৌঁছান সু চি। গত ২৫ আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর অভিযানে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা এবং লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে গৃহহারা করার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেত্রী।

তার সফরের বিষয়টি জানিয়ে সু চি’র কার্যালয় সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব জও হতাই সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্টেট কাউন্সেলর এখন সিত্তে (রাখাইনের রাজধানী) শহরে রয়েছেন। তিনি মংডু ও বুথিডুয়াং এলাকাও (সবচেয়ে ধ্বংসযজ্ঞের শিকার) পরিদর্শন করবেন। এটি হবে দিনব্যাপী সফর। ’

তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জ্বালিয়ে দেওয়া জনপদ বা রোহিঙ্গা বসতিগুলোতে সু চি যাবেন কি-না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। এছাড়া, রাখাইনে সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়নের মুখেও ভিটে-মাটি আঁকড়ে থাকা স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গাদের দেখতে স্টেট কাউন্সেলর যাবেন কি-না, তাও জানা যায়নি।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেনাবাহিনী ও রাখাইনের স্থানীয় অন্য সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হুমকি-ধামকিতে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা মংডুর বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, দীর্ঘদিন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে আন্দোলন করে শান্তিতে নোবেল জিতে গেলেও অং সান সু চি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করে ক্ষমতায় আসার পর আর তাদের ক্ষ্যাপাতে চাইছেন না। ক্ষমতা ধরে রাখার লোভে পড়েই তিনি নিজের ভাবমূর্তি বিসর্জন দিয়ে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ ইস্যুতে সেনাবাহিনীকে আড়াল করে আসছেন।

তার এই ভূমিকায় সহ-নোবেলজয়ীরা যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনি স্তম্ভিত বিশ্ববাসীও। শুরু থেকেই সেনা অভিযান বন্ধে ব্যর্থতা এবং এ ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে না পারায় সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়েন সু চি। এতো নিন্দা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে সু চি দাবি করেন, সহিংসতার জন্য রাখাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠীরা দায়ী, সেনাবাহিনী নয়।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপে তিনি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা বললেও এ নিয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেননি। তারমধ্যেই বৃহস্পতিবার আকস্মিক এই পরিদর্শনে গেলেন অং সান সু চি।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।