চলতি নভেম্বরের ১৫ তারিখ তার সেখানে যাওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর নিশ্চিত করেছে।
পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো সফর করবেন তিনি।
বর্তমানে টিলারসন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ১০ দিনের এশিয়া সফরে আছেন। সফরে চীনের সঙ্গেও তাদের এই ইস্যুতে আলোচনার কথা রয়েছে।
আরও পড়তে ক্লিক করুন:
মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা চান মার্কিন আইনপ্রণেতারা
রাখাইনে অবাধে ত্রাণ পৌঁছানোর আহ্বান ইউএনএইচসিআর’র
পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেছেন, টিলারসন রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কথা বলবেন। তারা যেন নিরাপদে নিজ জনপদে ফিরে যেতে পারেন, পদ্ধতি কী হতে পারে সেটি নিয়ে কথা বলবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াং ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জোর দিয়েছেন। যদিও এতো কথাবার্তার পরও কোনো কাজ হয়নি। রোজই হাজারো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক দলের সিনিয়র আইনপ্রণেতারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগে অন্তত ৪৩ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে। এ বিষয়টি নিয়ে মাসখানেক থেকেই কথা হচ্ছে।
চলতি বছরের ২৪ আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অত্যাচারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখের বেশি বলে জাতিসংঘ জানাচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকেন। এতে মোট রোহিঙ্গা সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
আইএ